বিশেষ প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন জমে উঠেছে।মেয়র পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: রমজান আলীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো: আতাউর রহমান আতা।রমজান আলী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং আতাউর রহমান আতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। দুই প্রার্থীরই রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। রমজান আলীর পক্ষে পথসভা, উঠানবৈঠক হলেও আতাউর রহমানের কোন সভা চোখে পড়ছে না।
মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ১৫ জন এবং ও নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
আজ ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার রিটার্নিং অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই, প্রার্থীরা প্রতীক সম্বলিত লিফলেট ও পোস্টার ছাপিয়ে তা টাঙ্গানো শুরু করেছেন।
এক নং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ছয় জন প্রার্থী। জাহানারা পারভীন বলপেন প্রতীকে, নাজমা আক্তার দ্বিতল বাস প্রতীকে, মলি আক্তার আনারস প্রতীকে, মাসুমা আক্তার মুক্তি চশমা প্রতীকে, রেহেনা বেগম টেলিফোন প্রতীকে এবং শিল্পি আক্তার জবা ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
দুই নং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রদতদ্বন্দ্বীতা করছেন চার জন প্রার্থী। রাজিয়া সুলতানা আনারস প্রতীকে, শিরিন আক্তার মুক্তা চশমা প্রতীকে, সাবিহা হাবিব হারমোনিয়াম প্রতীকে এবং সোহেলী বাতেন অটোরিক্সা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
তিন নং নারী সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন পাঁচ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। জেসমিন আক্তার আনারস প্রতীকে, মাহফুজা আক্তার মুন্নি চশমা প্রতীকে, মোরশেদা হোসেন মিতু টেলিফোর প্রতীকে, সামসুন নাহার বলপেন প্রতীকে এবং হাবিয়া বেগম জবা ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এছাড়া এক নং সাধারণ ওয়ার্ডে চারজন- আনোয়ার উটপাখী প্রতীকে, আবুল কালাম আজাদ টিউব লাইট প্রতীকে, খইমুদ্দিন আহমেদ পাঞ্জাবী প্রতীকে এবং মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ডালিম প্রতীকে।
দুই নং ওয়ার্ডে ছয়জন- আব্দুল মান্নান উটপাখী প্রতীকে, মো: আনছার আলী ডালিম প্রতীকে, মো: ছানোয়ার রহমান পাঞ্জাবী প্রতীকে, মো: জাহাঙ্গীর আলম গাজর প্রতীকে, মো: নুরুল ইসলাম কুইন্টা ব্রীজ প্রতীকে এবং মো: রফিকুল ইসলাম রফিক টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে।
তিন ওয়ার্ডে পাঁচজন- আনোয়ার হোসেন খান ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে, নাঈম খান গেদা উটপাখী প্রতীকে, মো: তছলিম মিয়া (তছলিম হৃদয়)ডালিম প্রতীকে, সানজিদুল ইসলাম কাজল পানির বোতল প্রতীকে এবং রতন মজুমদার পাঞ্জাবী প্রতীকে।
চার নং ওয়ার্ডে তিন জন- মো: আবু বকর সিদ্দিক পাঞ্জাবী প্রতীকে, মো: আরশেদ আলী বিশ্বাস উটপাখী প্রতীকে এবং মো: রতন ভুইয়া ডালিম প্রতীকে।
পাঁচ নং ওয়ার্ডে তিন জন-আনন্দ কুমার সাহা পানির বোতল প্রতীকে, আব্দুর রাজ্জাক রাজা ঢেঁড়শ প্রতীকে এবং মো: হযরত আলী উটপাখী প্রতীকে, ছয় নং ওয়ার্ডে আটজন-মোহাম্মদ হাসেম আলী উটপাখী প্রতীকে, মো: আবুল হোসেন খান (মাষ্টার শাহীন) টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে, মো: লাল মিঞা পাঞ্জাবী প্রতীকে, মো: শাহ আলম গাজর প্রতীকে, মো: সাইদুর রহমান পানির বোতল প্রতীকে, মো: হায়দার আলী ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে, শায়েখ শিবলী ঢেঁড়শ প্রতীকে এবং সুভাষ চন্দ্র সরকার ডালিম প্রতীকে।
সাত নং ওয়ার্ডে নয়জন-আনছার আলী গাজর প্রতীকে, আব্দুর রাজ্জাক পাঞ্জাবী প্রতীকে, দেওয়ান সেলিম ঢেঁড়শ প্রতীকে, মো: আফজার হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে, মো: আফজাল হোসেন বাবুল ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে, মো: ইয়াহিয়া চৌধুরী ইনু ব্রীজ প্রতীকে, মো: কবির হোসেন উটপাখী প্রতীকে, মো: কামাল হোসেন ডালিম প্রতীকে এবং মো: দেলোয়ার হোসেন মোল্লা পানির বোতল প্রতীকে।
আট নং ওয়ার্ডে চার জন-আবু মো: নাহিদ পানির বোতল প্রতীকে, মো: আব্দুল মতিন উটপাখী প্রতীকে, মো: খায়রুল হাসান ফুলচাঁন ডারিম প্রতীকে এবং মো: ফজলুল হক পাঞ্জাবী প্রতীকে।
এবং নয় নং ওয়ার্ডে চার জন-আব্দুর রাজ্জাক উটপাখী প্রতীকে, আরিফুল ইসলাম বিশ্বাস টুটুল ডালিম প্রতীকে, মো: আব্দুল ছোবহান মৃধা পাঞ্জাবী প্রতীকে এবং মীর জাহিদ হোসেন পানির বোতল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানিকগঞ্জ পৌসভার মোট ভোটার ৫৫ হাজার ২০২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৬, ৯৩৬ জন এবং নারী ভোটার ২৮, ২৬৬ জন। ২৫টি ভোট কেন্দ্রের ১৪৫টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার এবং নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার শেখ মুহাম্ম হাবিবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন অফিস।