নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা পা পড়েছিল। এর পর থেকে নিজের ফর্ম আর নেতৃত্ব দিয়ে কেড়েছেন নজর। একের পর এক রেকর্ড লুটিয়ে পড়েছে তার পায়ে। এবার এক দশকের সেরা ক্রিকেটারের খেতাব জুটালেন ভারতের অধিনায়ক, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শ্রীলঙ্কান লিজেন্ড কুমার সাঙ্গাকারা ও অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
এই এক দশকে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ রান করেছেন কোহলি, যা যে কারও চেয়ে বেশি। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৬ সেঞ্চুরি ও ৯৪ হাফসেঞ্চুরিও তার। ২০১১ সাল থেকে সত্তরের বেশি ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ গড় ৫৬.৯৭ রান।
কোহলি ভারতের সঙ্গে জিতেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০১৮ সালে তার নেতৃত্বে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত জিতেছিল টেস্ট সিরিজ। এসব তো দলীয় সাফল্য। ব্যক্তিগত অর্জনেও দাপট কোহলির। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন।
একই সঙ্গে দশক সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও হয়েছেন কোহলি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৯ সেঞ্চুরি, ৪৮ ফিফটি, ৬১.৮৩ গড় ও ১১২ ক্যাচ নিয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দশ হাজারের বেশি ওয়ানডে রান করেছেন।
আইসিসির এই দশক সেরা পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতের ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ‘প্রথমত, এই পুরস্কার পাওয়া আমার জন্য বিরাট সম্মানের। গত এক দশকে যেসব মুহূর্ত আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, তা হলো ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়, ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং! ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়।’
কোহলি আরও বলেছেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, আমার একমাত্র অভিলাষ হলো দলের জয়ে অবদান রাখা এবং প্রত্যেক ম্যাচে আমি সেই চেষ্টা করি। কখনও পরিসংখ্যানে মন দেই না, কারণ এগুলো হচ্ছে মাঠে যা করবেন তার ফসল।’
দশক সেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এই সময়ে ৬৯ টেস্ট খেলে ৬৫.৭৯ গড়ে ২৬ সেঞ্চুরিসহ ৭ হাজার ৪০ রান করেছেন। ২০১৫ সালের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন তিনি। ওই বছর জেতেন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার, যা পেয়েছিলেন ২০১৭ সালেও।
দশক সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান। এক দশকে ৪৮ ম্যাচ খেলে ৬.১৪ ইকোনমি রেটে ১২.৬২ গড়ে ৮৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেও এই সময়ে সবার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বোলার হিসেবে কুড়ি ওভারের ম্যাচে চার বলে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। মাত্র ২ বছর ২০ দিনে সবচেয়ে কম সময়ে এই ফরম্যাটে দ্রুততম ৫০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন রশিদ।