স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গবন্ধু পরিবারের মতো ক্রীড়ানুরাগী পরিবার পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক পরিবার আছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের মতো ক্রীড়ানুরাগী পরিবার আরেকটি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন- বঙ্গবন্ধু নিজেও খেলোয়াড় ছিলেন, তার পরিবারের শেখ কামাল শেখ জামালসহ অনেকেই খেলোয়াড় ছিলেন বলেই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন খেলেছেন। শেখ কামাল তিনিও খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি সাংস্কৃতিক অনুরাগী ছিলেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্রীড়া অনুরাগী। যিনি আমাদের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে মাঠে চলে যান। বঙ্গবন্ধুর পরিবার যেভাবে ক্রীড়া অনুরাগী এবং ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত, সারাবিশ্বে দ্বিতীয় এমন কোন রাজনৈতিক পরিবার নেই।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে ইঙ্গিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে শিল্প-সাহিত্য, খেলাধুলা চর্চা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এগুলোর প্রতি অতীতের সরকারগুলোর মনোযোগ ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে ক্রীড়াখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসীন আলী’র সভাপতিত্বে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন, বাফুফে সদস্য আরিফ হোসেন মুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এইদিন নির্ধারিত সময়ে অমিমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। নীলফামারী আশির উদ্দীন ফুটবল একাডেমি ৪-৩ গোলে রাণীশংকৈল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রতিমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী আলী আকবর মেমোরিয়াল অটিস্টিক প্রতিবন্ধী স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।