স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপি বলেছেন, করোনার নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। আমাদের দেশে আগের তুলনায় করোনার সংক্রমন কমে গেছে। সংক্রমনের হার এখন সাড়ে ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ। মৃত্যুর হারও কমে গেছে।
আজ (শনিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডখোটে আব্দুল মজিদ ফটো, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, জেলা পরিষদের সদস্য শামীম হোসেন, গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ১৯২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে অবস্থান করছে। আমেরিকার অবস্থান ৪০ নম্বরে এবং ভারতের অবস্থান ৩৫ নম্বরে। আমাদের দেশে কোন ওয়েভ নাই। যেভাবে আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন চার হাজার লোক মারা যায়, পুরো বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। সেখানে আমাদের দেশে এখন মৃত্যু হার খুবই অল্প। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। চায়না ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, রাশিয়া ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, ইউরোপ ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, আমেরিকা ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। ভ্যাকসিনের জন্য আমরা সব দড়জা খুলে রেখেছি।
ফাইজার কোম্পানি থেকে বিনামুল্যে কিছু ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন আমরা গ্রহণ করবো এবং ফ্রন্ট লাইনারদেরকে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’দেশে গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে। তবে আমরা চাই না করোনায় আমাদের দেশে একটি লোকও মৃত্যুবরণ করুক। আমরা সকলে মাস্ক পড়ি, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখি এবং আমরা প্রত্যেকেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছি। যার ফলে বাংলাদেশ ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। পৃথিবীর সমস্ত দেশ যেখানে মাইনাসে চলে গেছে সেখানে আমাদের অর্থনীতি প্লাসে আছে।
করোনার সময় কেউ না খেয়ে রয় নাই, কেউ গৃহহীন হয় নাই। সকলেই ভালো আছে, আমরা এই অবস্থায় রাখতে চাই। আমরা আশা করছি চলতি মাসের শেষে অথবা সামনে মাসের প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের কোন অভাব হবে না। মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার দেড় হাজার দুঃস্থ ব্যক্তির মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।