যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২৯ জন। চারঘণ্টা ধরে শহরের দুই এলাকায় হামলা চালিয়েছে এই বন্দুকধারী। পরে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাতে শহরটির এভান্সটনের কয়েকটি এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব শুরু করে এই বন্দুকধারী। আচমকাই শহরের একাধিক এলাকায় গুলি চালান তিনি। বিভিন্ন বয়স, পেশার মানুষজনকে আক্রমণ করেন। হামলাকারীর মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ।
প্রথমে এই বন্ধুকধারী শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলায় চালায়। তার ছোড়া গুলিতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, পার্কিং লটে নিজের গাড়িতে বসেছিলেন ওই ছাত্র। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকধারী। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এরপর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন হামলাকারী। সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীকে জখম করেন এবং এক বৃদ্ধাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লে তার ঘাড়ে গুলি লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালে আনার পর নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে এক পরিচিত ব্যক্তির গাড়ি চুরি করে চম্পট দেন এই হামলাকারী। পরে এক নাবালিকা, রেস্তোরাঁ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এরপর গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান শিকাগো সীমান্তে।
ঘটনায় হতাহতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক নারী ও এক শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে হামলার পর শিকাগো সীমান্তে পার্কিং লটে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে এই বন্ধুকধারীর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বন্দুকধারীর নাম নাইটেঙ্গেল। কিন্তু কেন তিনি হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। ইতোমধ্যে হামলার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে শিকাগো পুলিশ।