পারিবারিক আভিজাত্যের অহমিকা ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এলিফের দাদি তার বাবা-মায়ের বিয়ে মেনে নেয়নি। শাশুড়ির হুমকির মুখে অন্তঃসত্ত্বা মেলেক স্বামী কেনানকে কিছু না বলে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে সন্তানের কথা ভেবে মেলেক বেইসেল নামের এক মধ্যবয়সী লোককে বিয়ে করে। কিন্তু অভাগার ভাগ্য ফেরায় কে? নিষ্ঠুর জুয়াড়ি বেইসেলের পাশবিক অত্যাচারে মেলেক শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে বেইসেল জুয়ার টাকার দায় এড়াতে এলিফকে শিশু পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে মেলেক তা জেনে যায়।
জীবনের একমাত্র অবলম্বন মেয়ে এলিফকে বাঁচাতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে এলিফকে নিজের বাড়িতে এক অবহেলিত আশ্রিতা হয়ে দিন কাটাতে হয়। অন্যদিকে এলিফের বাবা কেনান, মা আলিয়ের পছন্দে আরযু নামে এক কুটিল নারীকে বিয়ে করে। সেই ঘরে জন্ম নেয় এলিফের সৎ বোন তুইচে। ঘটনাচক্রে তুইচের মা যখন এলিফের আসল পরিচয় জানতে পারে, তখনই শুরু হয় ভাঙা-গড়ার জটিল সমীকরণ। সে কিছুতেই রাজত্ব ও রাজপুত্র হাতছাড়া হতে দেবে না। এভাবেই নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে তুর্কি ধারাবাহিক ‘এলিফ’।
ধারাবাহিকটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি থেকে দীপ্ত টিভিতে এর প্রচার শুরু হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রচার হবে এটি। অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, তানজিনা রহমান বর্ণা, মো. ফরহাদ হোসেন পাভেল, শামীমা সুলতানা ও শামীমা আক্তার।
এ ধারাবাহিকে কণ্ঠাভিনয় করেছেন—নাহিদ আখতার ইমু (এলিফ), জয়শ্রী মজুমদার লতা (মেলেক শিমশেক), শোভন দাস (কেনান এমিরওলু), তানিয়া পাটোয়ারী (আরজু এমিরওলু), রাফিকুল সেলিম (বেইসেল শিমশেক), নাদিয়া ইকবাল (তুইচে এমিরওলু), ইরা রহমান (আলিয়ে এমিরওলু), শাহরিয়ার রানা (সেলিম এমিরওলু), ইন্দ্রানী ঘটক (যেইনেপ শিমশেক), অভিক সাহা (মুরাত), মেহবুবা মিনহাজ বিপা (আইশে)। এতে অভিনয়ের পাশাপাশি কণ্ঠাভিনয় পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মারিয়াম মিতু।