উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের (ইউসিএল) শেষে ষোলোর দ্বিতীয় লেগের দুটি ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামবে জুভেন্টাস ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। জুভেন্টাস খেলতে নামবে পোর্তোর বিপক্ষে আর বরুশিয়া খেলবে সেভিয়ার বিপক্ষে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় খেলা দুটো শুরু হবে। জুভেন্টাস ও বরুশিয়া দুই এই ম্যাচ খেলতে নামবে ঘরের মাঠে। বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে দেখে নেওয়া যাক কারা এগিয়ে আর কারা পিছিয়ে।
প্রথম লেগের খেলায় পোর্তোর বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে জুভেন্টাস। হারলেও মহাগুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল থাকায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ওল্ডলেডিরা। ঘরের মাঠে পোর্তোকে ১-০ গোলে হারাতে পারলেই পাওয়া যাবে শেষ আটের টিকিট।
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তুরিনে আসার পর থেকে গত দুই আসরেই ইউসিএলের শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েছে জুভেন্টাস। এবারও প্রথম লেগে হেরে বাদ পড়ার পথেই। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর এখনো সুযোগ রয়েছে রোনালদোদের সামনে।
এই ম্যাচে ফিট রোনালদোকে পাচ্ছে জুভেন্টাস। জর্জিও চিয়েলিনি ফিরেছেন মাঠে তবে ইনজুরির কারণে থাকছেন না পাউলো দিবালা। গত সপ্তাহে করোনা পজেটিভ হওয়াতে খেলতে পারবেন না রদ্রিগো ব্যান্টাকুর। সাসপেন্ড থাকায় নামতে পারবেন না দানিলো।
এই ম্যাচকে সামনে রেখে জুভেন্টাস কোচ জানিয়েছেন, মাঠে নামার জন্য তেঁতে আছেন সেরা অস্ত্র রোনালদো। এই ম্যাচে কোনো ভুল করতে চান না। পিরলোর আশা ৯০ মিনিট নিজেদের সেরা শক্তি দিয়ে লড়ে যাবে শিষ্যরা।
ছেড়ে কথা বলবে না পোর্তো। দলটি ইউরোপ সেরার এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো জিতেছে জুভেন্টাসের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তারা অগ্নি পরীক্ষায় ফেলবেন রোনালদোদের। এ ছাড়া আছে জয়ের সুখস্মৃতি। এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল। তার মধ্যে চারটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে জুভেন্টাস।
এদিকে লেগের প্রথম ম্যাচে সেভিয়াকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসেছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হালান্ডরা। তিনটি অ্যাওয়ে গোল থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বরুশিয়া। তাদের টপকে শেষ আটে উঠতে হলে সেভিয়াকে কমপক্ষে দুটি গোল দিতে হবে, হজম করা যাবে না কোনো গোল। ইউসিএলে নিজেদের মাঠে গত ৭ ম্যাচ ধরে হারেনি বরুশিয়া।
প্রথম লেগে জোড়া গোল করা আর্লিং হালান্ডই বড় অস্ত্র বরুশিয়ার। বুন্দেস লিগায় এর আগের ম্যাচের জার্মানির বিপক্ষে ৮ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে চমকে দিয়েছিলেন। সেভিয়াকে নক আউটে যেতে হলে তাকে আটকাতেই হবে, নাহয় পেতে হবে বাদ পড়ার স্বাদ।