স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে কোভ্যাক্সের ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকা আসবে। আর ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের পরবর্তী চালান এই মাসে আসতে পারে। এরপর বাকি টিকা ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
টিকার জন্য ৫৩ লাখেরও বেশি নিবন্ধন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। টিকার দুটি ডোজ দেয়া হয় একজনকে। সে হিসেবে ২ কোটি ডোজ দিয়ে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
করোনাভাইরাস নিয়ে সবাইকে আবারো সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা চলে যায়নি। করোনা যখন যাবে তখন আমরা সবাই জানবো। শুধু বাংলাদেশ না, পুরো পৃথিবী থেকে দূর হলেই বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। কাজেই এক ডোজ টিকা নিয়েই ভাবা উচিত না যে করোনামুক্ত।
তিনি বলেন, টিকা নিলেই করোনামুক্ত হবে না। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সময় লাগবে সুরক্ষা তৈরি হতে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার আগে করোনা থেকে সুরক্ষা তৈরি হবে না।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকমাস দেশে করোনা শনাক্তের হার কম থাকলেও গত কয়েকদিনে বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার একদিনে এক হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধিকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, লোকজনের বেপরোয়া চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতালে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আনন্দের বিষয় হলো, যত মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গায় কোনো অঘটন ঘটেনি। সরকার এখন যে টিকা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা দেবে, তা পুরোটাই বিনামূল্যে থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং আবাসিক ছাত্রদের টিকা দেয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে এর আগেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের টিকা দেয়া হবে।
বয়সসীমা ৪০ নির্ধারণ করার কারণে দেশের ৪ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেভাবে ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে, এ পর্যন্ত ভালোই আছে। এই ভালোটা বজায় রাখতে চাই। টিকা যদি আমাদের হাতে বেশি আসে, সব শিডিউল ঠিক থাকে, তাহলে হয়তো বয়সের বিষয়ে চিন্তা করতে পারবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।