বিরাট কোহলি সবুজ ঘাসে পা রাখার মানে গগণবিদারী চিৎকার। কোহলি কোহলি বলে কলরব স্টেডিয়াম জুড়ে। টিম ইন্ডিয়ার অবস্থা যেমনই থাকুক ২২ গজে কোহলি পা রাখলে স্টেডিয়ামে উৎসব চলে। দর্শকরা বাধনহারা আনন্দে মেতে উঠেন। সেই উৎসব থেমে যায় কোহলির প্রস্থানে। তার আউটে স্টেডিয়ামে পিনপতন নিরাবতা।
শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পেয়েছিল এমন কিছুর স্বাদ। ভারতের অধিনায়ক ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বলে কোহলি আউট হন ইনিংসের শুরুতেই। রানের খাতা খোলার আগেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজঘরে। কোহলির আউট নিয়ে আদিল রশিদের মন্তব্য, ‘দর্শকদের শান্ত করে রাখার মজাই আলাদা।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের টি-টোয়েন্টি যাত্রা শুরু হয়েছে হার দিয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ইংল্যান্ড জিতেছে হেসেখেলে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভারত হেরেছে। কোহলি ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তাকে শুরুতে থামিয়ে দারুণ খুশি আদিল রশিদ। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, ‘কোহলির মতো বিশ্বমানের একজন ব্যাটসম্যানদের উইকেট পাওয়া আনন্দের। ব্যাটসম্যানরা কখনো কখনো বোলারদের চার-ছক্কায় ভাসান আবার কখনো দ্রুত আউট হয়ে যান। এটা খেলার একটি অংশ। বিশ্বমানের একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট অবশ্যই ভালো লাগার।
‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না কোহলি মাঠে নামার সঙ্গে দর্শকরা কি বলছিল। তবে এতোটুকুর নিশ্চিত করতে পারি তারা আনন্দে আত্মহারা ছিলেন। কোহলির ব্যাটিং দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। অনেক চিৎকার হচ্ছিল। ভারতীয় দর্শকরা এমনিতেও ক্রিকেটের পাগল। কোহলির মতো একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট নিয়ে দর্শকদের শান্ত করে দেওয়ার আনন্দও দারুণ। তাকে আউট করার পর স্টেডিয়াম অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছিল। তারা চার-ছক্কা দেখতে এসেছিল। কিন্তু সেই সুযোগটি পায়নি।’ – যোগ করেন আদিল রশিদ।
জয় পাওয়া ম্যাচ ১৪ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতেও ভালো করতে মুখিয়ে ৩৩ বছর বয়সি ক্রিকেটার। তার ভাষ্য, ‘আমি সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখাতে চাই। পারফরম্যান্স নিয়ে কেউ কখনো নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আমি চেষ্টা করবো কাজ চালিয়ে যাওয়ার। ভালোর থেকে সেরা হওয়ার চেষ্টা থাকবে।