টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানালেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ১৩১ রানে অল আউট হয়ে তামিম খুবই হতাশ। বাজে শটে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দেওয়া, মনোবলে ঘাটতি এবং নিজেদের মতো করে খেলতে না পাড়ায় পুড়ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
ডানেডিনে শনিবার সকালে আবহওয়া কিছুটা গোমট থাকায় পেসাররা বাড়তি সুইং পাচ্ছিলেন। বলেও ছিল বাড়তি গতি। কিন্তু ভুল শটে উইকেট হাারানোয় তামিম নিজেদেরকেই কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছেন। অধিনায়কের মতে, নিউ জিল্যান্ডে ২৭০ থেকে ২৮০ রানের পুঁজি না পেলে ভালো ফল প্রত্যাশা করা ভুল হবে।
‘আমাদের ৩-৪টা ডিসমিসাল খুবই সফট ছিল। যেগুলা আমরা আশা করি না। আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ব করি। ১৩০ রান করার মতো দল আমাদের নয়। যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেনো। এখানে যদি আমাদের ভালো কিছু করতে হয়, তাহলে কমপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’ – বলেন তামিম।
পরের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানদের থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশায় আছেন তামিম। ভালো ফল পেতে হলে ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে। অধিনায়ক সাফ জানালেন, শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যান ভালো না করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। তার ভাষ্য, ‘আজকের পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে, বোলারদের ডিফেন্ড করার জন্য কিছু দিতে হলে। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানদের থেকে আমাদের একজনের বড় রান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরকম যদি একজন ক্যারি অন করতে পারে তাহলে বড় রান করা সম্ভব। কিন্তু যদি প্রথম পাঁচজন রান না করে এটা সব সময়ই কঠিন। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে যেহেতু এখানকার কন্ডিশন আমাদের ঘরের মাটি থেকে আলাদা। আমাদের জন্য এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পাঁচজনের একজন বড় রান করা।
দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে আরেকটি ম্যাচে নামে নামলেন তামিমরা। ম্যাচে জয়-পরাজয় থাকতেই পারে। পারফরম্যান্সেরও উঠা-নামা থাকতে পারে। কিন্তু ডানেডিনে শনিবার যে দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ সেখান থেকে কিছুই নিতে পারছে না। অধিনায়কের সহজ স্বীকারক্তি, ‘সত্যি কথা বলতে এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কোনো কিছুই নেই নেওয়ার। যদি আমার বলতেই হয় তাহলে মাহেদী যে ৫-৬ ওভারের স্পেল করেছে…এছাড়া আমি কোনো কিছু দেখি না যে এখান থেকে নেওয়ার আছে।
/মহিদ