স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ২ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। আগামীকাল তিনি ঢাকায় আসবেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এটাই প্রথম নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক সফর।
সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যা দেবী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সফরকালে নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ৪টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও কৃষি খাতে সহযোগিতা চুক্তি। এসব চুক্তি ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্যে আলোচনা করা হবে।
বিদ্যা দেবীর জন্ম ১৯৬১ সালে ভোজপুর জেলায়। ১৯৭০ সালের পরে তিনি বাম ঘরানার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮০-৮১ সালের মধ্যে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সিপিএন-মাওবাদী) সদস্য হন। আশির দশকে দলের সদস্য মদন কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মদন কুমার পরবর্তীতে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন। তার সময়েই সিপিএন জোট বাঁধে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (লেনিনবাদী) সঙ্গে। তখন থেকে দলের নাম হয় সিপিএন-ইউএমএল। ১৯৯৩ সালে কাঠমান্ডু- ১ আসনের সংসদ সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাট্টারিয়াকে পরাজিত করে উপনির্বাচনে ওই আসনে বিজয়ী হন বিদ্যা। ২০০৯-১১ সাল পর্যন্ত মাধব কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন বিদ্যা। এছাড়া, সর্বশেষ নেপালের সংবিধান রচনায় যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার সদস্যও ছিলেন ইউএমএলের এই নেতা।