এস এম আকরাম হোসেন:
মানিকগঞ্জে এবার জমিতে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশী বোরো আবাদ হয়েছে। জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরা আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।চাষাবাদের অনুকূল পরিবেশ থাকায় লক্ষামাত্রার চেয়েও ৬শ হেক্টের বেশী জমিতে আবাদ হযেছে।৩ লক্ষ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন জানান কৃষি বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতপুরে কৃষক মুরাদ হোসেন সেলিমের জমিতে ধান কাটা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টীজের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক খান তুষার, মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক রাজা, কৃষক মুরাদ হোসেন সেলিমসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলসি জমির পরিমান দিনদিন কমে যাচ্ছে।এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে যে, সমস্ত জমিই আমরা পতিত রাখবো না।চাষাবাদের মাধ্যমে বা কৃষিকাজে নিয়ে আসতে চাই, উৎপাদনের ভিতরে নিয়ে আসতে চাই। এরপরও মানুষের বসবাসের জন্য হোক, অন্যান্য ডেভলমেন্ট কাজের জন্য হোক, শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য হোক ফসলি জমি কিন্তু কমছেই।সেই ক্ষেতে আমরা ধানের বীজ অথবা অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে হাইব্রিড বীজ আনতে যাচ্ছি।
ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জে বিরাশি জাতের অথবা তিরাশি জাতের, উনশি জাতের বিভিন্ন জাতের ধান আমরা প্রদর্শণী বা কৃষক পর্যায়ে পৌচ্ছে দিচ্ছি তাদের বীজটি যেটা দিয়ে যেটা দিয়ে প্রায় পচিশ থেকে ক্রিশ মণ ধান বিঘা প্রতি পাওয়া যায়। অথ্যাৎ ধান উৎপাদনের পরিমান বাড়াচ্ছি হাই ব্রীড জাতের বীজ দিয়ে। কৃষকদের লেবার খরচের কমানোর জন্য হারভেস্ট মেশিন ও আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বীজ রোপন, ধান কাটা ও মাড়াই সহ বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষকদের ভতূর্কি দিয়ে হারভেস্ট মেশিনসহ বিভিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছে।