করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে নিম্নআয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ দুই হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক সহায়তা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
যতক্ষণ করোনার টিকা বাজারে আছে ততক্ষণ সরকার তার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের ডোজ অর্থ খরচ করে সংগ্রহ করছি। কিন্তু জনগণের জীবন বাঁচাতে আমরা এ সকল ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনার টিকা নেয়া হোক বা না নেয়া হোক, করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রামের অর্থ সহায়তাপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থ সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়েন সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণির অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
এছাড়া, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।