সূর্যমুখী এক ধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। মিষ্টি বাদাম জাতীয় এই বীজে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপাদান। যেমন- খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডসহ বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ এই বীজ। বিভিন্ন দানাশস্যে এবং মিষ্টি তৈরিতেও বিশেষ করে যারা দুগ্ধজাত ও বাদামের মাখন খেতে পারেন না, তারা সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি মাখন খেতে পারেন।
এতে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন সি, ই আছে। এছাড়াও আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ শরীরের হাড় থেকে শুরু করে টিস্যুর সুসংগঠনে কাজ করে এই বীজ।
এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে এ বীজ। চলুন জেনে নেয়া যাক এর অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে-
>> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সূর্যমুখীর বীজ। সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রক্তনালীসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহের ক্ষতি করে এবং হার্ট, কিডনি, স্নায়ু এবং দৃষ্টিকেও প্রভাবিত করে। সূর্যমুখী বীজের মধ্যে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে না তবে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
>> সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে উন্নতমানের ভিটামিন ‘ই’ যা এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ও শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া কমায়। নিয়মিত এটি খেলে অস্টিওআর্থারাইটিস, অ্যাজমা ও বাতরোগ নিরাময় হয়।
>> হাড়ের সুস্থতার জন্য ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম দুটোই খুব জরুরি। সূর্যমুখীর বীজে খনিজ পদার্থের খুব ভালো উৎস, তাই এটি সুস্থ হাড় গঠনে সহায়তা করে।
>> এই বীজে আছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরল ও লিগন্যানস যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। এসব উপাদান শরীরে ক্যান্সারের কোষ তৈরি হতে দেয় না।
>> এই বীজে রয়েছে ফাইটোস্টেরল যা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
>> এর মধ্যকার ম্যাগনেশিয়াম নার্ভ সেলের অতিরিক্ত ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করাতে সাহায্য করে।
>> সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকার এমিনো এসিড যা শরীরে সেরেটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। সেরেটোনিন হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।