আমার নিউজ ডেস্ক,
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কর্মদক্ষতার প্রতিফলন। তাই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যগুলোর সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। এবং বাস্তবায়নযোগ্য কর্মকাণ্ডসমূহকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতাভুক্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন।
ইউজিসি সদস্য ও এপিএ টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজসি সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব ড. ফেরদৌস জামান।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউজিসির কাজের পরিধি বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ বিশাল কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে বস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচষ্টা ও অঙ্গীকার।
তিনি এপিএ টার্গেট পূরণে ইউজিসি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিষেশ অতিথি মো. হাসানুল ইসলাম তার বক্তব্যে এপিএকে সরকারি কাজ পরিমাপের প্যারামিটার হিসেবে উল্লেখ করে এর লক্ষ্যগুলোকে দক্ষতা ও প্রতিশ্রতির সাথে বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভা প্রধানের বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, এপিএ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইউজিসি আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে কোভিড মহামারির মধ্যেও এপিএ’র টার্গেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। কর্মশালায় ইউজিসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীর।