বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা ১২ টার দিকে শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সিনহার পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নিহত সিনহার বাবা আব্দুল হালিম, শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল হক, মোসাম্মদ রেহেনা আক্তার, আল মামুন, আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ধর্ষক সিফাত হোসেন শাকিল ছোট হয়েও যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সে প্রথমে সিনহাকে ধর্ষণ করে তারপরে গলাটিপে হত্যা করে। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আমরা চাই ধর্ষক শাকিলকে ফাঁসি দিয়ে দেশ একটা দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করুক। যাতে করে দেশে এই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
প্রসঙ্গত, শাকিল ও শিশু সিনহার বাড়ি পাশাপাশি এবং পরস্পরের খেলার সাথী। শুক্রবার (২১ মে) বিকাল তিনটার দিকে কিশোর শাকিল খেলার কথা বলে শিশু সিনহাকে চকের মাঝখানে একটি কাঠবাগানে নিয়ে যায়। বাগানের আশেপাশে কেউ না থাকায় শাকিল সিনহাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে হত্যা করে গামছা দিয়ে একটি মেহগনি গাছের সাথে সিনহার গলা বেঁধে শুকনে পাতা দিয়ে লাশটি ঢেকে রাখে শাকিল।
শনিবার (২২ মে) সিনহার নানা আব্দুল বারেক মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে শাকিলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে শাকিল পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। বুধবার (২৬ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানো হলে কিশোর শাকিল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে শাকিলকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।