কী দারুণ সময় স্পেনের কেটেছে ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের ইউরো পর্যন্ত! টানা দুইবার ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন, মাঝে জিতেছে বিশ্বকাপও। তারপর থেকে আর কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোই টপকাতে পারেনি তারা। এবারও কি একই ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে? নাকি নতুন প্রজন্মের হাত ধরে স্পেন ফিরে পাবে তাদের পুরোনো আধিপত্য? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার (১৪ জুন) শুরু হচ্ছে তাদের ইউরো মিশন, প্রতিপক্ষ সুইডেন।
‘ই’ গ্রুপের লড়াইয়ে নামার আগে একে অন্যকে বেশ ভালোভাবে জেনে নিয়েছে স্পেন ও সুইডেন। ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে তারা খেলেছে একে অন্যকে। ঘরের মাঠে জিতেছে স্পেন, আর সোলনায় করেছে ড্র। এবার সুইডিশদের সেভিয়েতে স্বাগত জানাবে লা রোজারা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে হোম টার্ফে অপরাজিত স্পেন তাই ফেভারিট।
স্পেনের ইতিহাসে প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের কোনও খেলোয়াড় নেই। নাচো, রামোস, মার্কো আসেনসিও, লুকাস ভাসকেস ও ইসকোকে নেননি এনরিকে। নতুন চেহারার এই স্পেনকে নিয়ে পুরোনো আধিপত্য ফেরানোর মিশনে নামবেন তিনি। প্রথম ম্যাচে স্পেন পাচ্ছে না তাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সার্জিও বুশকেতসকে। ফলস পজিটিভের পর দলে ফিরেছেন ডিয়েগো লরেন্তে। শক্তিশালী একটি দল মাঠে নামাতে প্রস্তুত এনরিকে।
স্পেনের সামনে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে সুইডেনকে। তাদের বিপক্ষে গত ১২ ম্যাচে একবারই ক্লিনশিট রাখতে পেরেছিল সুইডিশরা। ২০০৬ সালের অক্টোবরে ইউরো বাছাইয়ে ২-০ গোলে স্প্যানিশদের হারায় তারা এবং এটাই ছিল তাদের বিপক্ষে সুইডেনের শেষ জয়।
‘ই’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে সবার নজরে থাকবেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। ক্লাব ফর্ম তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরাতে পারলে পোল্যান্ড বড় কিছুরই স্বপ্ন দেখতে পারে। প্রথম ম্যাচে পোলিশরা সেন্ট পিটার্সবার্গে খেলবে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে। ২০১৬ সালের নকআউট খেলা স্লোভাক বেশ শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে পোল্যান্ডকে।
সোমবার ইউরোর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে স্কটল্যান্ড ও চেক রিপাবলিক। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি তারা খেলবে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে। ২৫ বছর পর ইউরোতে খেলতে নামছে স্কটিশরা। ইসরায়েল ও সার্বিয়াকে পেনাল্টিতে হারিয়ে নাটকীয়ভাবে ১৯৯৮ সালের পর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে তারা। ১৯৯৬ সালের ইউরোতে তারা শেষবার খেলেছিল, ওইবারের মতো এবারও তাদের গ্রুপ সঙ্গী ইংল্যান্ড। শুক্রবার মুখোমুখি হবে তারা। এর আগে চেক রিপাবলিককে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে চায় স্কটল্যান্ড।