আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের মধ্যে কোথাও কোনো মতের গরমিল থাকলে, তা দলের স্বার্থে নিরসন করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগের কর্মীরাই দলের শক্তি। কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কোনো অভাব নেই। যারা দলের ত্যাগী ও দুঃসময়ের কর্মী, তাদের দলের মধ্যে জায়গা করে দিতে হবে। দলের ও সরকারের সুনাম নষ্ট করে এমন বিতর্কিত কাউকে দলে ঠাঁই দেয়া যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে অনেকে বসন্তের কোকিল সেজে আসবে। তারা ঝাঁকে আসবে, ঝাঁকে যাবে। এ বসন্তের কোকিলদের হাতে দল টিকবে না। তাই আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিএনপি লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে লুটপাটতন্ত্র চালু করেছিল বিএনপি। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল দেশটাকে লুটপাটের রাজ্যে পরিণত করছিল। লুটপাট, ধ্বংস আর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল।
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলেন। বিএনপির আমলে এসব চিন্তাই করা যেত না। দুর্নীতির কারণে বিএনপি কোনো নেতাকে শাস্তির আওতায় আনতে পেরেছে, এমন কোনো নজির নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নামক দল মানুষের উন্নয়ন চায় না, তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় বলেই মানুষ তাদের চায় না। তারা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি এদেশের জন্য কি করেছে? যার জন্য জনগণ তাদের আন্দোলনে সায় দেবে? এমন তো বিএনপি কিছু করেনি দেশের মানুষ জন্য, যা দেখে তাদের বিশ্বাস করবে ও তাদের কথায় সায় দিয়ে আন্দোলন করতে নামবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজ কর্মের জন্যই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের খলনায়কে পরিণত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বহুদলীয় তামাশার প্রচলন করেছিল বিএনপি। দেশের মানুষ তা আজো ভুলে যায়নি।