মোঃ নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে ধরা পড়লো প্রেমিক সাজে চট্টগ্রামের অভিনব প্রতারক।

আজ সকালে বিভিন্ন প্রতারণার জাল ভেদ করে মানিকগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে। মূলত নিজেকে চিকিৎসক ও ফাইভ স্টার হোটেলের মালিক পরিচয় দিয়ে নারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিতেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঢের প্রামানও মিলেছে প্রতারকের মুঠোফোন থেকে।

মেয়েটি সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মানিকগঞ্জে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী S M Ataur Rahman (Opurrno) নামে একটি ফেসবুক আইডি হতে অনুমানিক নভেম্বর ২০২০ তারিখে তার আইডিতে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পেয়ে রিকোয়েষ্ট টি কনফার্ম করে। সেই থেকে উক্ত ঘটনার মূলহোতা প্রতারক এস এম আতোয়ার রহমানের সাথে তাহার বন্ধুত্ত্ব হয় এবং ফেসবুক হোয়াটএপ সহ বিভ্ন্নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যক্তিগত নম্বরে বিভিন্ন চ্যটিং সহ নানা ধরনের কথাবার্তার আদান প্রদান হতে থাকে। ইতপূর্বে সে কয়েকবার মানিকগঞ্জে আসে এবং উক্ত মেয়েটির নিকট হইতে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার এবং হোটেলের মালিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে উক্ত বিবাদী সহ বিভিন্ন মেয়েদের নিকট হইতে অভিনব কায়দায় নগত টাকা স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়া মিথ্যা বিবাহের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তোলে।

অভিযোগকারী মেয়েটির নিকট হইতে একইভাবে প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে ইতপূর্বে স্বর্ণের গলার চেইন ও হাতের ব্যেচলেইট হাতিয়ে নেয়।পরব্তীতে ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় প্রতারক মানিকগঞ্জে আসে এবং মানিকগঞ্জ বাসষ্টান্ডে রাজ রেষ্টুরেন্ট এ মেয়েটির সাথে দেখা করেন।খাওয়া দাওয়া শেষে প্রতারক শহরের কালিবাড়ী রোড মন্দিরের বিপরিতে নার্গিস কমপ্লেক্স এর ২য় তলায় নিয়ে যায় এবং মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাহার জৌনলালসা চরিতার্থে মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। মেয়েটি তাহার কুমতলব বুঝতে পেরে চিৎকার চেচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়। উুক্ত প্রতারকত সুকৌশলে ডাক্তার সহ বিভিন্নর পরিচয় ব্যবহার করে প্রেমের ফাদ ফেলে মেয়েদের সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন কর ও বিভিন্ন সময় তাহাদের স্থিরচিত্র ধারণ করে পরবর্তীতে ব্লাকমেইল করে নগত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলি খান জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ১১ নারি ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ১০ তৎসহ ৪০৬/৪২০ পেনালকোর্ডে মামলা রজু করা হয়েছে।