শুভংকর পোদ্দার, স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে ভীড় করেছে মানুষ।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে উপজেলার আন্ধারমানিক, রামকৃষ্ণপুর, বাহাদুরপুর ও কুশিয়ারচর (কালিতলা) এলাকায় গতকালের মতো পদ্মাপাড়ে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে।
বিষিনিষেধকালীন সময়ে অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না-এমন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে পদ্মাপাড়ে মানুষের ঢল নেমেছে। লোকজনের আগমনে এসব জায়গায় বসেছে অস্থায়ী চটপটি, ফুচকা, বাদাম, ঝালমুড়িসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ও খেলনার দোকান।
এছাড়া, গতকালের মতো আজকেও অন্ততঃ ১৬টি ট্রলারে গাদাগাদি করে নৌভ্রমণ এবং কয়েকটি ট্রলারে উচ্চশব্দে অশ্লীল গান বাজিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও নৃত্য করতেও দেখা গেছে।
পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা ও ট্রলারে ভ্রমণরত বেশিরভাগ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক, নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। এতে উপজেলার করোনাপরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে পদ্মাপাড়ে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিধিনিষেধের কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় পদ্মাপাড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু সময় কাটাতে এসেছেন তারা।
রামকৃষ্ণপুর পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা রায়হান নামের একজন বলেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি।
কুশিয়ারচর এলাকার পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা ফয়সাল বলেন, অন্য সময়ে মাস্ক পরলেও, ঘুরতে আসায় মাস্ক পরিনি।
এ প্রসঙ্গে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, “ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
মুঠোফোনে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি বের হয়েছি। নদীপাড়ে যাচ্ছি।”