জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস ঃ
গভর্ণমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। আজ রাত আটটা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট গভর্ণমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন আফরোজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার ও গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের মহাসচিব প্রকৌশলী রতন চন্দ্র পাল এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা টিমের কোর মেম্বার
এ. এস. এম. হোসনে মোবারক।
প্রধান অতিথি জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে আইসিটি ক্যাডার করার জন্য প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করেছি। অচিরেই আইসিটি ক্যাডার গঠিত হবে। এতে টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহজ হবে।’
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ২০১৩ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গঠন করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োজিত করেছে। এখন আমাদের প্রয়োজন সকল দপ্তরের ডিজিটাল কার্যক্রমের একটি সমন্বয়। এজন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সরকারের সকল আইসিটি পেশাজীবীদের একক প্রশাসনিক আওতায় এনে তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আমরা যদি আইসিটি পেশাজীবীদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা আগামী দিনে প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারবো। আর এই আইডিতে যেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবী সন্তানরা আসে তাই আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়ন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারই করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কেননা এই আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিল, তখন অনেকেই এই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছেন। আর যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো তাহলে আমরা করোনা মোকাবেলা করে বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ কাজই করতে পারতাম না। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আজ আমরা আমাদের সকল কাজ করতে পারছি। তাই আমি এই অনুষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমাদের আইসিটি উপদেষ্টাকে। এই কর্মকাণ্ড সামনে আরও বেগবান হবে। আমরা তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এই আশা ব্যক্ত করছি।’
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘আইসিটি পেশাজীবীগণ দিনরাত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও আরো উন্নততর কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইসিটি ক্যাডার অচিরেই গঠিত হবে। টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি আইসিটি পেশাজীবীগণ সহজে পৌঁছে দিবেন।’
মুখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান তার আলোচনায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মময় জীবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ও সরকারের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন আইসিটি পেশাজীবী। আর এর জন্য প্রয়োজন আইসিটি ক্যাডার। তাই আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সমাজের সকল স্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের আইসিটি পেশাজীবীরা কাজ করছেন, তিনি হলেন তারুণ্যের অহংকার আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যামে তিনি এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন।
এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ দেশের সকল জেলার সরকারী আইসিটি