এস এম আকরাম হোসেন :
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও সাবেক মন্ত্রী হারুণার রশিদ খান মুন্নু’র রবিবার ১ আগস্ট চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। মানিকগঞ্জ সদরের গিলন্ড এলাকায় মুন্নু সিটিতে সকাল ৮টা থেকে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা। মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে অনেকটা আড়ম্বরহীনভাবে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে
বিকেলে বাদ আসর গিলন্ড মসজিদে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হবে।
হারুণার রশিদ খান মুন্নু’র পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে। চার্টার্ড এ্যাকাউন্টস (সিএ) কোর্স সম্পন্ন করা মুন্নু ঢাকার ওয়ারীতে মুন্নু আর্ট প্রেসের মাধ্যমে তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন, তার পূর্ণতা পায় মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। তিনি মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেব্রিক্স লিঃ ও মুন্নু অ্যাটায়ার লিমিটেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছেন। সমগ্র জীবনের উপার্জন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উইল করেছেন, যার মাধ্যমে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে রেখেছেন অনন্য অবদান। মুন্নু মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হসপিটাল, মুন্নু নার্সিং ইনস্টিটিউট, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার সৃষ্টি। কৃষিপ্রধান মানিকগঞ্জকে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরের পেছনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। জেলাবাসী তাঁকে ‘দানবীর’ হিসেবে স্মরণ করেন।
প্রয়াত মুন্নু বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে এবং ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ-২ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করার পর তিনি মন্ত্রী হন।
তিনি স্ত্রী হুরন নাহার রশিদ, দুই কন্যা আফরোজা খান রিতা ও ফিরোজা মাহমুদ এবং কন্যাদের স্বামী-সন্তান রেখে গেছেন। তাঁর বড় মেয়ে আফরোজা খান রিতা মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।