সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু এ সফর স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস (ইসিবি) ক্রিকেট বোর্ড।
তবে সিরিজটি বাতিল হচ্ছে না। ২০২৩ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংলিশরা। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। দুই সপ্তাহে ছয়টি সীমিত পরিসরের ম্যাচ আয়োজন করা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড একই সঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পারস্পারিক সম্মতি দিয়েছে যে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সফর পিছিয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ড তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। দুই সপ্তাহের সফরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ম্যাচগুলি আয়োজন করা হবে।’
গতকাল ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানায়, দুই দেশের তিনটি করে ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্থগিত হচ্ছে। টেলিগ্রাফের দাবি, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে ইংলিশ ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাস্তবতার নিরিখেই মূলত ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল চলাকালে বাংলাদেশ সফরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার চেয়ে আইপিএলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট তাদের জন্য বেশি কার্যকর। আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, এই দেশটিতেই অক্টোবর-নভেম্বরের হবে টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। আগেভাগে সেখানকার উইকেট কন্ডিশনের সুযোগ সুবিধা আয়ত্ত করতে পারবেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
আইপিএলের চুক্তিবদ্ধ জোফরা আর্চার, জস বাটলার, বেন স্টোকস ও সাদা বলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যানের জন্য এটা বেশ স্বস্তির খবর। ইসিবি শুরুতেই তাদের হুঁশিয়ারি করে দেয় যে, সবার আগে জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাতে এবারের আইপিএলে মরগ্যানদের খেলা একেবারেই অসম্ভব ছিল। বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যাওয়ায় নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি পাচ্ছেন তারা।