বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার আগে বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউ জিল্যান্ডের। কিন্তু ম্যাচটি তারা বাতিল করেছে।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিকেএসপিতে আলাদা জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকা থেকে বিকেএসপির দূরত্বও তাদের চিন্তার কারণ। এজন্য প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে চাচ্ছে না কিউইরা। তবে বিসিবি শুধুমাত্র জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণের কথাই বলছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন রাইজিংবিডিকে বলেন ,‘নিউ জিল্যান্ড প্রস্ততি ম্যাচটা খেলতে চাচ্ছে না। সূচিতে ২৯ আগস্ট বিকেএসপিতে বিসিবির দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ম্যাচটি আয়োজন করলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা লাগবে। অতিরিক্ত জৈব সুরক্ষা বলয় এড়িয়ে যেতে চাইছে তারা।’
ঢাকা থেকে বিকেএসপির দূরত্বও ম্যাচটি বাতিলের কারণ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘মোটেও না। এর আগে বড় দলগুলি সবাই গিয়ে বিকেএসপিতে খেলেছে। বিকেএসপির সুবিধা উন্নত। আর সফরকারী দলগুলির জন্য বিশেষ সুবিধা থাকে। যাতায়াতে খুব অল্প সময় প্রয়োজন হয়। এটা কোনো ইস্যু নয়।’
২৪ আগস্ট ঢাকায় পা রাখবে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ১ সেপ্টেম্বর। পরের চারটি ম্যাচ ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। মিরপুর শের-ই-বাংলায় প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচগুলি কখন শুরু হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতো সন্ধ্যা ৪টায় ম্যাচগুলি শুরু হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাতদিনে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতি ম্যাচ শেষে রয়েছে একদিন করে বিরতি। ১০ দিনে হবে পাঁচটি ম্যাচ।
২০১৩ সালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে নিউ জিল্যান্ড। দুই দল এখানে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। ২০১৩ সালে মিরপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৫ রানে। তবে ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে দুটি এবং ফতুল্লায় একটি ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে দুই দলের দুটি টেস্টও ড্র হয়েছিল। ২০১০ সালেও বাংলাদেশে এসেছিল কিউইরা। সেবারও ওয়ানডেতে তাদেরকে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ২০০৪ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসে নিউ জিল্যান্ড। এরপর ২০০৮, ২০১০, ২০১৩ সালেও আসে তারা। এবার দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশে আসছে কিউইরা। বিশ্বকাপের ঠিক আগে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন তারা।
ঢাকায় পা রেখে অতিথিরা তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন করবেন। এরপর প্রস্তুতিতে নামবেন। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশে। হেরেছে প্রতিটি ম্যাচ। এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জিততে পারে কি না সেটাই দেখার।