স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের অন্তর্গত চান্দরা এলাকায় এলজিইডি’র রাস্তার পূর্ব পাশের সীমানা পিলার থেকে ১২ ফুট পশ্চিমে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে রাস্তার পশ্চিম পাশের জমির মালিকগন ক্ষতির আশংকা করছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন করেছেন।
৩০ বছর আগে এস এ রেকর্ড অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ-এলজিইিডি’র পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে মানিকগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ হাট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। রাস্তা নির্মাণের পর রাস্তার পূর্ব এবং পশ্চিমে সীমানা পিলারও স্থাপন করা হয়। সেই অনুযায়ী রাস্তার পশ্চিম পাশের জমির মালিকরা নিজ নিজ জমির ওপর বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে, ওই রাস্তার পূর্ব পাশের সীমানা পিলার অতিক্রম করে ১২ ফুট পশ্চিমে এসে কর্ণেল মালেক মেডিক্যেল কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে গনপূর্ত বিভাগ। এতে রাস্তার পশ্চিম পাশের জমির মালিকদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, কর্নেল মালেক মেডিকেলের সীমানা প্রাচীর ১২ ফুট পশ্চিমে করেছে তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু ১২ ফুট পশ্চিমে সীমান প্রাচীর নির্মাণের পর, যদি ওই প্রাচীরকে সীমানা ধরা হয় তাহলে ভবিষ্যতে জমি পরিমাপ করতে গেলে সমস্যা হবে। এব্যাপারে এখনও যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগাম ব্যবস্থা না ভাবেন, তাহলে ভবিষ্যতে পশ্চিম পাশের প্রত্যেকের জমি ১২ ফুট কমে যাবে। একারণে তারা জেলা প্রশাসন, এলজিইডি, গনপূর্ত বিভাগ, এসি ল্যান্ড অফিসের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, অধিগ্রহণ করার সময় কতটুকু করা হয়েছে সেটা দেখতে হবে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে আবেদনপত্রটি করা হয়েছে, সেটা দেখে বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আশাকরি এলাকাবাসীর কোনো ক্ষতির কারণ থাকবে না।