‘বিসিবি নির্বাচনে চমক থাকবে।’, ‘এবার সভাপতি নাও হতে পারি।’, ‘নতুন নেতৃত্ব দেখা যেতে পারে।’, ‘ডাক্তারের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার বলা হয়েছে, ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব, দূরে সরে যেতে।’, ‘এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হবে। অন্যবারের মতো নাও হতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে কথাগুলো বলেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে যেসব কথা বলেছেন সেসব কথার কথা-ই! কোনো চমক নেই, নেই নতুন নেৃত্বত্ব। টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদে বসলেন সেই নাজমুল হাসান।
নির্বাচিত হওয়া পরিচালনা পরিষদের পরিচালকদের ভোটে নাজমুল হাসানই বিসিবির হট সিটে বসছেন। বৃহস্পতিবার মধ্য দুপুর থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে মিরপুরে প্রবেশ করেন। হৈ-হুল্লোড়, নাচে-গানে, স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন হোম অব ক্রিকেট। দুপুর ২টার পর আসেন নাজমুল হাসান।
বিশাল ভিড় ঠেলে বিসিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন নির্বাচিত পরিচালকরাও। দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের পর পরিচালকরা বৈঠকে বসে নাজমুল হাসানকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেন। গতকাল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে ৫৭ ভোটের মধ্যে নাজমুল হাসান যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন। এবার তিনি নির্বাচনে জিতে পরিচালনা পরিষদে এসেছেন।
সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। সেপ্টেম্বরে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নাজমুল হাসান। বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, বিভাগীয় ও জেলা সংস্থা শুভেচ্ছা জানান নতুন বোর্ড সভাপতিকে।
ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে আগামাী ৪ বছর নাজমুল হাসানের নেতৃত্বেই চলবে বিসিবি। নতুন মেয়াদে নিশ্চিতভাবেই তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। সামনের পথটুকুতে তিনি কতটা সফল হতে পারেন তা সময়ই বলে দেবে।