তাত্ত্বিকভাবে এটা সম্ভব। কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যদি সফল হয় সেটা অলৌকিকতার চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না।
দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- এই তিন দল চলতি আইপিএলের প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে অফের চতুর্থ ও শেষ স্থানটি চূড়ান্ত করতে বড় ধাপ ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শারজায় ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে কলকাতা। তাদের রান রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৫৮৭ এ। আগে ব্যাট করতে নেমে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা ৪ উইকেটে ১৭১ রান করে, এই আসরে তাদের সর্বোচ্চ। তারপর শিবম মাভি ও লকি ফার্গুসন একসঙ্গে সাত উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন।
এই ম্যাচের আগে কাগজে-কলমে চার দল ছিল চতুর্থ স্থানে ওঠার লড়াইয়ে। পাঞ্জাব কিংস, রাজস্থান, মুম্বাই ও কলকাতা। এই আসরের ৫৪তম ম্যাচ শেষে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুটি দলে- কলকাতা ও মুম্বাই।
কাগজে-কলমে মুম্বাইয়ের আশা সত্যিই এখনো টিকে আছে। কিন্তু যে হিসাব নিকাশ তাদের সামনে, তা কি করে দেখানো সম্ভব? রেকর্ড কথা বলছে তাদের বিপরীতে। অবশ্য এই সম্ভাবনা এক ঝটকায় শেষ হয়ে যেতে পারে ম্যাচের শুরুতেই। যদি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচে টস হারে এবং পরে ব্যাটিং করতে হয়। তাহলে কোনো সুযোগই তাদের সামনে নেই।
এক্ষেত্রে হায়দরাবাদ যদি ছাড় দিয়ে আগে ব্যাটিং দেয়, তাহলে প্রথম ইনিংস পর্যন্ত টিকে থাকবে ক্ষীণ আশা। মুম্বাইকে আগে ব্যাটিং করে ২৫০ বা তার বেশি রান করতে হবে, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে একবার করতে পেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক্রিস গেইলের রেকর্ড ১৭৫ রানে বর্তমানে বিলুপ্ত পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল তারা। পরের সর্বোচ্চ স্কোরও বেঙ্গালুরুর, গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ২৪৮/৩। আর মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ২২৩/৬, ২০১৭ সালে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে।
নিজেদের রেকর্ড যদি মুম্বাই ভেঙে ২৫০ বা তার বেশি রান করেও, তারপর কলকাতাকে নেট রান রেটে পেছনে ফেলতে হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিততে হবে ১৭০ রানের ব্যবধানে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বর্তমান রান রেট খুবই দুর্বল, মাইনাস ০.০৪৮। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৪৬ রানে জয়ের রেকর্ড কিন্তু মুম্বাইয়ের, দিল্লির বিপক্ষে ২০১৭ সালে ১৪৬ রানে। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৭ রানের জয়ের রেকর্ড আছে, ২০১৯ সালে তুরস্কের বিপক্ষে চেক রিপাবলিকের।