উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দারুণ জয়ে প্রথম গোলটি করেন লিওনেল মেসি। এরপর রদ্রিগো ডি পল ও লাউতারো মার্টিনেজের গোলে কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ৩-০ তে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্যারাগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত মেসি।
৩৮ মিনিটের গোলটি ছিল মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৮০তম। বক্সের বাইরে থেকে একটু উঠিয়ে গোলপোস্টের দিকে বল বাড়ান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তার পাসে গোলমুখের সামনে পা বাড়ালেও বলে সংযোগ করতে পারেননি নিকোলাস গঞ্জালেস। বল মাটিতে লাফিয়ে মুসলেরাকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায়। পাস থেকেই গোল করেন মেসি এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৮০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
ম্যাচ শেষে মেসি তার প্রতিক্রিয়া জানান, ‘আমরা দারুণ একটি ম্যাচ খেললাম। আমি মনে করি আমাদের খেলা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। বল পায়ে রাখায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। আজ ছিল কঠিন ম্যাচ এবং আমাদের জিততেই হতো। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।’
উরুগুয়ে যে কোনো সময় ম্যাচ বের করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে বললেন ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘উরুগুয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে এবং বিপদে ফেলে। আমরা প্রথম গোল পেতেই জায়গা খুঁজতে শুরু করেছিলাম এবং গোল আসতে থাকল। জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ আমরা অন্য দলগুলোর ফল জানি। অন্যদের চেয়ে এক ম্যাচ হাতে আছে এবং যদি আর ৭ পয়েন্ট পাই, তাহলে আমরা খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’
বড় জয় পেলেও আর্জেন্টিনার শুরুটা হতে পারত বড় ধাক্কায়। গোলপোস্টে অদম্য ছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। লুইস সুয়ারেজের দারুণ দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন দেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার। তার প্রশংসা করলেন মেসি, ‘দিবু (এমিলিয়ানো) মার্টিনেজ ভিত গড়ে দিয়েছিল। যখন তারা তার কাছে আসছিল, সে সবসময় দারুণভাবে জবাব দিচ্ছিল। গোলমুখে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আমাদের আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক।’
বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে এদিন ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শক এসেছিলেন। তাদের কাছে পেয়ে আপ্লুত মেসি, ‘দর্শকরা ছিল অসাধারণ। তারা এলে সময়টা অনেক সুন্দর কাটে এবং উপভোগ্য হয়।’
১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার সঙ্গে ব্রাজিল (২৮) গোলশূন্য ড্র করায় শীর্ষস্থানের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ছয়ে নেমেছে।