মোহাম্মদপুরে ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির ঘরে এবং জোটে বিভক্ত দেখা দিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলটিতে এখন বিচ্ছেদের সুর বাজছে, নেতারা দল ছাড়ছেন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নিজের ঘরেই এখন বিচ্ছেদের সানাই বাজছে। একে একে নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপি’র ২০ দলীয় জোটেও ভাঙনের বিষাদ সুর।
বিএনপির আন্দোলনের ডাকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। মির্জা ফখরুল প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আন্দোলনের ডাক দেন। তারা আমাদের চেয়ে ৬ ঘণ্টা পিছিয়ে আছে। কারণ আমাদের নেত্রী ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে। আর বিএনপির কাউকে দুপুর ১২টার আগে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের বিবৃতি আসে গভীর রাতে। অন্ধকারে কাজ করতে এদের ভালো লাগে। কাজেই বিএনপি যতোই সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে যাবো।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজকে যারা সমালোচনা করছে আমরা তাদের অন্ধ সমালোচনা ও অপপ্রচারের জবাব দেবো আমাদের উন্নয়ন অর্জন দিয়ে। তোমরা সমালোচনা করো, আমরা কাজ দিয়ে জবাব দেবো। আমরা মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করে উপযুক্ত জবাব দেবো। মানুষকে খুশি করে আমরা জবাব দেবো।
আগামী বছর আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, বাস র্যাপিট ট্রানজিটের মতো মেগা প্রকল্প যখন একে একে উদ্বোধন হবে, তখন জনগণই বিএনপির সমালোচনার মুখ বন্ধ করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি একটি দলের হয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে মনে হয় ইসি নয় তিনি নিজেই জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। আসলে তিনি কঠিন ও জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। বর্তমান ইসির মূল সমস্যাই হচ্ছে মাহবুব তালুকদার নিজেই।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের মতো বিতর্কিত অপকর্মকারীদের দলে ঠাঁই না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজের লোক বাড়ানোর জন্য খারাপ লোকদের টেনে আনবেন না। এই খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। তাদের দলের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দলের দুঃসময় এলে দলের খাটি কর্মীরাই থাকবে। বিতর্কিত ওইসব লোকেরা থাকবে না। সে জন্য এই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন। যতো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে আসবে, দল ততো শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।