ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছে। ‘আন্ডারডগ’ তকমাও জুটেছে তাদের কপালে। তবে সেটা মুছে ফেলার পথে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই হয়!
এই অস্ট্রেলিয়া শুরুতে তাদের শক্তি দেখিয়েছে বোলিংয়ে। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড আর প্যাট কামিন্সের পেসের সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিন বড় শক্তি অজিদের। পাকিস্তানের ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাবর আজমের উইকেট পেতে তো স্টার্কের ওপর নির্ভরতা কথা লুকায়নি অজিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তো এই বোলাররাই ছিলেন সর্বেসর্বা। তাতে বাকি কাজ সহজ হয়ে গেছে পরে ব্যাট করতে নামা ব্যাটসম্যানদের জন্য।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরেকটি শক্তির জায়গা হলো তাদের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে আগুন জ্বলছে। সেমিফাইনালে আগে শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান তিনি, করেছেন ৩৪৮।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে স্টিভ স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিসকে নিজেদের জাত চেনাতে হবে। অধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তারা। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার কোনো বিকল্প নেই তাদের সামনে।
তাছাড়া ওপেনিং জুটিটাও বড় হচ্ছে না। পাওয়ার প্লেতে বড় সংগ্রহ নেই। অধিনায়ক ফিঞ্চ বলেছেন, এই পাওয়ার প্লেই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতার পথে এই দুর্বলতা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে কি না দেখার।
তাছাড়া আমিরাতের এই কন্ডিশনে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা লক্ষণীয়। এই দুবাইয়ে সাত ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে হেরেছে তারা। সব মিলিয়ে ‘আন্ডারডগ’ অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখালেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।