জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশে এখন আর সুশাসন নেই। সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়।’
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর শাসনকালে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে দেশের মানুষ শ্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান দিতে পারে? এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র উপভোগ করতে পারছেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘‘এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। আবার বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। বিএনপিতে চরম নেতৃত্ব সংকট চলছে। দেশের মানুষ বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত। তাই দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে একমাত্র রাজনীতির বিকল্প শক্তি।
‘দেশের মানুষ এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পরিবহন সেক্টর কে নিয়ন্ত্রণ করছে তা কেউ জানে না। কিছু সমিতি ও ইউনিয়ন পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে। তাই গণ পরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না।’
গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মিসেস শেরীফা কাদের এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, এম এ রাজ্জাক খান, ফারহীন হাসান, ফারুক প্রমুখ।
গাজীপুর মহানগরের সদস্য সচিব মো. মোশারাফ হোসেন-এর সঞ্চালনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভূঁইয়া, আজাহারুল ইসলাম সরকার, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, আবু সাঈদ স্বপন, জয়নাল আবেদীন, সরদার নজরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইঞ্জিনিয়ার এহালান উদ্দিন, শাহিন আরা সুলতানা, ফিরোজ মাহমুদ নাসির, রেজাউল করিম, মোতাহার হোসেন, মো. জাকির হোসেন ও পবন।