নিউ জিল্যান্ডের রান বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। আগের দিনের ২৫৮ রানের সঙ্গে আজ ৭০ রান যোগ করে ৩২৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের রান নাগালে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। পেসার ইবাদত বাদে তাসকিন ও শরিফুল ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। তাদের বল ছিল ধারাবাহিক। অন্যদিকে ইবাদত এলোমেলো বোলিংয়ে রান দিয়েছেন অনায়েসে।
তবে বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফস্পিনার উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়ায় দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নেন। সঙ্গে মুমিনুলের শিকার ফিফটি করা নিকোলস। তাতে দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
৩৫০ রানের আগে নিউ জিল্যান্ডকে আটকে দেওয়া বিরাট অর্জন। কিউইদের কখনোই তাদের মাটিতে এতো কম রানে অলআউট করেনি বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে ৩৫৪ রানে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড। এদিকে শেষ ৫ বছরে অষ্টমবারের মতো ৩৫০ রানের নিচে অলআউট হলো নিউ জিল্যান্ড।
দিনের শুরুতে শরিফুল বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান। তার হাত ধরেই আসে প্রথম সাফল্য। বাঁহাতি পেসারের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন রাচিন রাবিন্দ্রা। এরপর মিরাজ একে একে তুলে নেন জেমিনসন, সাউদি ও ওয়েগনারের উইকেট।
ফিফটি পাওয়া নিকোলস আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে থামিয়ে দেন মুমিনুল হক। বল টার্ণ পাওয়ায় মিরাজের সঙ্গে নিজেকে বোলিংয়ে আনেন মুমিনুল। সাফল্য হাতের মুঠোয় ধরা দেয়। ৭৫ রান করা নিকোলস রিভার্স সুইপ করে তার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন। এর আগে মুমিনুল নিয়েছিলেন সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ের উইকেট।
সব মিলিয়ে বল হাতে দারুণ সময় কাটাল বাংলাদেশ। এবার ব্যাটসম্যানদের প্রমাণের পালা।