এস এম আকরাম হোসেন :
মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেনীর অর্ধবার্ষিকী কাম বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কলেজের অডিটোরিয়ামে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অর্ধবার্ষিকী কাম বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এরপর প্রতিটি বিভাগের ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বক্তব্য রাখেন ও ফলাফল ঘোষনা করেন সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মো.রেজাউল করিম, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুজ্জামান রাসেল, একাদশ শ্রেনীর অর্ধবার্ষিকী কাম বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো.মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃ্দ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.জাফর ইকবাল। এসসময় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম স্থান অর্জনকারী হৃদ আরফি খান আদ্রি (রোল নং-১০২৫), দ্বিতীয় ইসরাত জাহান লাজুক (রোল নং-১০০৭) ও তৃতীয় পুস্পিতা বসাক সূচি (রোল নং-১০২৭)।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারী মৃত্তিকা দাস শ্রাবন্তী (রোল নং-২০০৬), দ্বিতীয় তৌহিদুল ইসলাম খান রাজ (রোল নং-২০৯৭) ও তৃতীয় সুমাইয়া আক্তার ( রোল নং-২০১৭)।
মানবিক বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারী নাদিয়া আক্তার তৃষা ( রোল নং-৫৩), দ্বিতীয় স্থান সামিরা আঞ্জম ঐশি (রোল নং-১০২৭) ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বিথি আক্তার (রোল নং-৩৩৫)।
একাদশের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৪৩৩ জনের মধ্যে ২২৯ সব বিষয়ে পাশ করেছে। মানবিক বিভাগে ৬৩৯ জনের মধ্যে ১৯৭ জন সব বিষয়ে পাস করেছে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৪২ জনের মধ্যে ৬১ জন পাস করেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: রেজাউল করিম ফলাফলের বিষয়ে বলেন, করোনার কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ কারনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের উদ্যোশে এখন থেকে সর্তক হয়ে যাও, পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে উত্তীর্ন তালিকায় আসতেই হবে। তা না হলে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ করতে পারবে না।
ফলাফল ঘোষনা শেষে কলেজের পক্ষ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া মেধাক্রম অনুযায়ী আরো ও ত্রিশজন শিক্ষার্থীকে উপহার হিসেবে খাতা দেওয়া হয়।