স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ্ কবিরের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ৬ টি প্রাইভেটকার, ১টি হায়েজ ও বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে৷ এ ঘটনায় ৮জন আহত বলে জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।
শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ্ কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এসকল তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে এস.এ জিন্নাহ্ কবীর জানান ,শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ -১ আসনের অন্তর্ভুক্ত দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী শেখের বাড়িতে এক সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফেরার পথে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ূন কবীর শাওন ৪০-৫০ অস্ত্রধারী নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান দুলাল ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সহ বিভিন্ন ইউনিটের ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ৬ টি প্রাইভেটকার, একটি হাইজ গাড়ী ও ২০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। এ বিষয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জিন্নাহ্ জানান।
জিন্নাহ্ আরো জানান, আওয়ামীলীগের বহরে এত মানুষ হয় না৷ আমি এই আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী, এই জনপ্রিয়তা, এই জনঢল তারা সহ্য করতে না পেরে ইর্শ্বান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা এখন লুটপাট হামলায় নেমেছে। এ জনঢল হামলা করে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকারিয়া হোসেন জানান, বিএনপি নেতার বহরে হামলার ঘটনা শুনেছি, কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নি৷ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।