সাপিলো ও মার্তিনেঙ্কো (বাঁ থেকে ডানে)
রাশিয়ার হামলায় প্রতিরোধ গড়তে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনের সর্বসাধারণ। মাতৃভূমি রক্ষায় এই কঠিন সময়ে ঘরে বসে থাকেননি দেশটির ক্রীড়াবিদরাও। যুদ্ধের ময়দানে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের একজন ভিতালি সাপিলো। তিনিসহ আরেক ফুটবলার মিদিত্রো মার্তিনেঙ্কোর মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার আগ্রাসনে।
পেশাদার ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন ফিফপ্রো ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে দুই ইউক্রেনিয়ান ফুটবলারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
২১ বছরের সাপিলো দ্বিতীয় বিভাগীয় দল কারপাতি লিভিভের হয়ে খেলতেন। যুদ্ধে তিনি সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন ট্যাংক কমান্ডার হিসেবে। কিয়েভের একটি যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাগুলিতে নিহত হন তিনি।
আঞ্চলিক ক্লাব এফসি গোস্তোমেলের সঙ্গে অপেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন মার্তিনেঙ্কো। ইউক্রেনিয়ান রাজধানীতে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে মায়ের সঙ্গে ছিলেন ২৫ বছর বয়সী ফুটবলার। রুশ বাহিনীর বোমার আঘাতে মারা যান তিনি।
ফিফপ্রো এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তরুণ ইউক্রেনিয়ান ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রি মার্তিনেঙ্কোর পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এই যুদ্ধে প্রথম কোনো ফুটবলারের মৃত্যুর খবর। তারা দুজনেই শান্তিতে ঘুমাক।
যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যাওয়ার পর সাপিলোকে ‘বীর’ বলে অভিহিত করেছে তার ক্লাব কারপাতি। তারা এক বিবৃতিতে শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। কারপাতি যোগ করেছে, ‘আমরা এই বীরের চিরন্তন স্মৃতিকে লালন করি।’
ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়াকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলে নিষিদ্ধ করে ফিফা ও উয়েফা। তার আগেই পোল্যান্ড ঘোষণা দেয়, বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারালেও দেশটির ফুটবল দলের সঙ্গে প্লে অফ খেলবেন না।