অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- কোন তেল ব্যবহারে উপকার বেশি বা পুষ্টি বেশি পাওয়া যায়? এ বিষয়ে জানতে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন বিভাগের চীফ কনসালটেন্ট, পুষ্টিবিদ সামিরা খালেক সুকৃতির সঙ্গে কথা হয়।
ডা. সামিরা বলেন, ‘আমাদের দেশে যত ধরনের ভোজ্যতেল ব্যবহার হয় তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো সরিষার তেল। সয়াবিন তেলে অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা পাম অয়েলসহ বিভিন্ন কিছু মেশায়। অধিক মুনাফার জন্য তারা এ কাজ করে। কিন্তু সরিষার তেলে সে সুযোগ নেই। কারণ সরিষার তেলে এমন কিছু মেশালে ভালোভাবে মিক্সড হয় না। এ কারণে সরিষার তেল তুলনামূলক ভালো। সানফ্লাওয়ার অয়েলের সঙ্গেও অন্য তেল মেশানো যায়।
ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত খাওয়ার জন্য উপকারী নয় উল্লেখ করে এই পুষ্টিবিদ বলেন, রান্নায় নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সানফ্লাওয়ার অয়েল ভালো, যদি সেটি খাঁটি হয়।
ক্যালরির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সামিরা বলেন, ‘ক্যালরির দিক থেকে মোটামুটি সব তেল প্রায় সমান। তেল যেহেতু ফ্যাটের অধীন, এক গ্রাম ফ্যাট থেকে ৯ ক্যালরি পাওয়া যায়। ফলে তেলের ক্ষেত্রে ক্যালরির ডিসটেন্স কিন্তু বেশি হচ্ছে না। আমাদের দেহে দুই ধরনের ফ্যাট রয়েছে- স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এখন সয়াবিন তেলের চেয়ে সরিষার তেল তুলনামূলক ভালো, অলিভ অয়েল আরো ভালো। কিন্তু তেল ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। অনেকে মনে করেন, অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করলে বেশি পুষ্টি হবে। কিন্তু যখন আপনি অলিভ অয়েল বেশি তাপে রান্না করবেন গুণগত মান নষ্ট হবে। অলিভ অয়েল দিয়ে আপনি হালকা ডিম ভাজতে পারেন কিন্তু খুব বেশি তাপে রান্না করলে কাঙ্ক্ষিত পুষ্টিগুণ পাবেন না।
আমাদের দেশে তেল-মসলা বেশি খাওয়া হয়। এ জন্য সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। চাইলে সরিষাবাটা তেল দিয়েও রান্না করা যায়। সরিষার তেল সয়াবিন তেলের চেয়ে বরং পরিমাণে কম লাগে। এতে শরীরে ক্যালরি বাড়ার আশঙ্কাও কমে যায়। জানান এই পুষ্টিবিদ।