স্টাফ রিপোর্টারঃ
শিশু রতনের স্বপ্ন পূরনে পাশে থাকবে মানিকগঞ্জের দিশারী। অর্থের অভাবে পরিবারের বড় কন্যা সন্তানকে অনেক আগেই বিয়ে দিয়েছে,আরও দুই সন্তানকে পাঠিয়ে দিয়েছে রংপুরে নানীর কাছে। শুধু মাত্র ছোট ছেলে রতন থাকে তার বাবা মায়ের কাছে। আগে ভাড়া থাকতেন মানিকগঞ্জের দাশড়া এলাকায় সেখানের একটি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়াশোনাও করেছে , কিন্তু করোনায় তাদের আর্থিক অবস্থা আরও দুর্গতি হলে বাসা ভাড়া না দিতে পাড়ায় বাসা ছেড়ে দিতে হয়েছে। কোথায়ও জায়গা না পেয়ে ছন ও প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে কালীগঙ্গা নদীর তীরেই দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে রতনের পরিবার।
রতনের বাবা বেউথা মাছ বাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে, আর রতন ও তার মা সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় টুকাইয়ের কাজ করে।রতনের মা অসুস্থ থাকায় রতন নিজে ভ্যান চালিয়ে মাকে প্লাস্টিক সংগ্রহ(টোকাইয়ের কাজে) সহায়তা করে। রতনের স্বপ্ন একদিন সে পড়াশোনা করে অনেক বড় হবে, দেশের মানুষের সেবা করবে।
একটা অনলাইন নিউজে রতনের পরিবারের সংবাদ দেখা মাত্র আমরা দিশারী পরিবারের একটি টিম তাৎক্ষণিক চলে যাই রতনের খোজ খবর নিতে। জানতে পারি স্কুলে যাওয়ার জন্য রতনের কোন স্কুল ব্যাগও নেই, ওর মা একটি ব্যাগ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে দিয়েছে সে ব্যাগ খুবই ছোট ও নোংড়া। আমরা দিশারীর পক্ষ থেকে সাথে সাথে রতনের জন্য একটি নতুন স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষাসামগ্রী উপহার দেই। একই সাথে রতনের স্বপ্ন পূরনে পড়াশোনার সকল প্রয়োজনে পাশে থাকবে দিশারী। আর রতন ও তার মায়ের ইচ্ছে বিকেলের শিফটে দিশারী স্কুলে পড়বে, সে সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিশারীর সভাপতি হাসান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হাসানাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ স্বপন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোহসীন আহমেদ মাতৃক, সদস্য দীপ সাহা সহ দিশারীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিশারীর সভাপতি হাসান সিকদার বলেন, সকলের দোয়া ও ভালোবাসা থাকলে এমনি অসংখ্য রতনদের মুখে হাসি ফোটাতে সব সময়ই পাশে থাকবে দিশারী পরিবার।