সকাল থেকেই প্রধান সড়কে যানজট থাকায় যাত্রীরা বিকল্প পথে রিকশা বা মোটরসাইকেল নিয়ে গেলেও সেখানেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানহ অফিসগামী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সকাল ১০টার মিরপুর থেকে শাহবাগ যাওয়ার জন্য রওনা হন আরিফুল ইসলাম নামের এক সাধারণ যাত্রী। পথে বেগ পেতে হয়েছে তাকে। মিরপুর থেকে রওনা দিয়ে কোনভাবে কল্যাণপুর পর্যন্ত এলেও এরপর থেকে পর্যন্ত প্রচণ্ড যানজট। নিউমার্কেটের রাস্তা বন্ধ থাকায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও এর আশেপাশে এলাকায়ও তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
নিউমার্কেট এলাকায় যাওয়ার জন্য মিরপুর কাজীপাড়া থেকে বের হওয়া রাখি ইসলাম বলেন, ‘আমি বের হয়ে গাড়িতে উঠেছি। হেলপার বলছে, ওদিকে মারামারি, ধানমন্ডি ৩২-এর পর আর যাবে না। গাড়ি ঘুরিয়ে দেবে। দেখি কতদূর যেতে পারি।’
নিউমার্কেট এলাকার এক যাত্রী বলেন, নিউমার্কেট কেন্দ্রিক সবগুলো সড়কে যানবাহন থমকে আছে। কাটাবন সড়কে দুই পাশে কোনো গাড়ি সামনে যেতে পারছে না।
মোহাম্মদপুর থেকে বাংলামোটর যাবেন বিপ্র মজুমদার। তিনি বলেন, এমনিতেই প্রতিদিন এই রুটে প্রচণ্ড যানজট থাকে। তার উপর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার কারণে প্রচণ্ড যানজট পোহাতে হচ্ছে।
নিউ মার্কেটে সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকায় সড়ক বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট হয়েছে আসাদগেট এলাকায়। সায়েন্সল্যাব-আসাদগেট রাস্তায়ও প্রচণ্ড যানজট। এর প্রভাব মোহাম্মদপুর এলাকাতেও পড়েছে।
ফার্মগেট এলাকার এক যাত্রী বলেন, ‘যানজট হয়েছে ফার্মগেটের রাস্তায়ও। সংসদ ভবনের সামনে থেকে ফার্মগেটের সম্পূর্ণ রাস্তায় জ্যাম। গাড়ি আগায় না। পরে হেঁটে বাংলামোটরে এসেছি।’
ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদি হাসান ফারুক বলেন, ‘আজকে সকাল ৮টা থেকেই যানজট শুরু হয়েছে। অন্য দিন বেলা ১১টা বাজলে আমরা একটু বিশ্রাম নিতে পারি। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় ঝামেলার কারণে আজকে কষ্ট করতে হচ্ছে।