টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের বেশ কিছু জেলা বন্যাকবলিত। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিতে পারে। এ সময় কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, ডায়রিয়া এবং টাইফয়েডের মতো মারাত্মক পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে। সুতরাং শঙ্কামুক্ত থাকতে জেনে রাখুন ঝটপট কীভাবে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে- বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন।
ট্যাবলেট: পানি ফোটানো বা ফিল্টার করার ব্যবস্থা না থাকলে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা যেতে পারে। প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট গুলিয়ে রেখে দিলে এক ঘণ্টা পর বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।
পটাশ বা ফিটকিরি: এক কলসি পানিতে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিলে পানির ভেতরে থাকা ময়লা তলানিতে জমে। এ ক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে শোধিত পানি সংগ্রহ করে তলানির পানি ফেলে দিতে হবে।
আয়োডিন: এক লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলেই পানি বিশুদ্ধ হয়। তবে কাজটি করতে হবে দক্ষ কারো সহায়তায়। কেননা পানি ও আয়োডিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে সেই পানি শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ: বৃষ্টি শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর থেকে পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করে রাখলে পানি পানের উপযোগী হয়। এ ক্ষেত্রে আকাশ থেকে সরাসরি পড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে। বাড়ির ছাদ বেয়ে পড়া বা গাছের পাতা ছুয়ে পড়া বৃষ্টির পানির সঙ্গে নানারকম জীবাণু মিশে থাকে।
এ ছাড়াও দূষিত পানি কয়েক ঘণ্টা তীব্র সূর্যের আলো ও তাপে রেখে দিয়ে বিশুদ্ধ করা যায়। সূর্যের ভায়োলেট রশ্মি পানির ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, পরজীবীর ডিএনএ দুর্বল করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যের তাপে বিশুদ্ধ করা পানি ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দেওয়া উচিত নয়।