স্টাফ রিপোর্টার:
কোরবানির জন্য প্রস্তুত ‘রাজা বাবু’। এনামুল হক শখ করে ষাঁড়ের এ নাম রেখেছেন। তিনি ষাঁড়টির মূল্য হেঁকেছেন ২০ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঁচলগোটা গ্রামে এনামুল হকের নিজস্ব খামার। সেখানেই তিনি ব্রাহামা জাতের ক্রস বাদামি এবং হালকা কালো রঙের রাজা বাবুকে দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করে মোটাতাজা করেছেন। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট, ওজন প্রায় ৩৭ মণ। বলাবাহুল্য রাজা বাবুর খবর আশপাশের দু’দশ গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
এনামুল হক বলেন, জন্মের পর থেকেই গরুটি শান্ত। অনেক যত্ন করে বড় করেছি। আশাকরছি, কোরবানির ঈদে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
নাম ‘রাজা বাবু’ রাখার কারণ সম্পর্কে এনামুল হক বলেন, গরুটি চলনে-বলনে রাজার মতো। এ কারণে রাজা বাবু নাম রেখেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল মিয়া বলেন, গত ৫ বছর গরুটিকে এনামুল হক যত্ন নিয়ে বড় করেছেন। গরুটি দেখতে খুবই সুন্দর ও শান্ত স্বভাবের। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে অনেকেই গরুটি দেখতে আসছেন। দামদর হচ্ছে কিন্তু ব্যাটে-বলে মিলছে না। তবে ঈদের এখনও বাকি, আশাকরি ভালো দাম মিলবে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১২০টি খামার রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রাজা বাবু ব্যতিক্রম। গরু লালন-পালনে এনামুল খুব সচেতন। সে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েছে। কোরবানি ঈদের জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ৫৯৩টি গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল প্রস্তত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।