1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

ইসির সঙ্গে সংলাপে এবারও যাচ্ছে না বিএনপি

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২
  • ২৭৪ বার দেখা হয়েছে

নির্বাচন বিষয়ে ইসির সঙ্গে আসন্ন সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নির্বাচন নিয়ে ইসির আনুষ্ঠানিক সংলাপে ২০ জুলাই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করছে। এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে ইসি।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি বিএনপি। বিএনপির পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের শরিক ও তাদের মিত্র দলগুলোও যায়নি। এবারও বিএনপির না যাওয়ার সঙ্গে একমত পোষণকারী বিএনপির শরিক এবং মিত্র দলগুলোরও অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে আভাষ পাওয়া গেছে।

নির্বাচন বিষয়ে ইসির সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের পছন্দের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে কোনো সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না। এ কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। ফলে বর্তমান সরকার থাকাকালে তাদের পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এই মুহূর্তে আমাদের মূল দাবি, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই বিষয়ের বাইরে ইসির সঙ্গে আমরা কোনো বিষয় নিয়ে সংলাপে বসতে আগ্রহী না।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সব ধরনের আলোচনা বা সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপেও অংশ নেয়নি তারা।

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। আর ১৭ জুলাই শুরু হবে এ সংলাপ। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে আলোচনা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। একেকদিন ৩ থেকে ৪টি দলের সঙ্গে বসবে ইসি। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের এ কার্যক্রম শেষ হবে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই বিএনপি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা চায়-নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, যার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যাতে অন্য দলগুলোর মতো বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি কেবল নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে যেকোনো আলোচনায় যেতে আগ্রহী।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে সমাধানে না আসা পর্যন্ত ইসির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র এক সদস্য।

তিনি বলেন, শুরু থেকে বিএনপি এ কমিশনের বিরোধিতা করে আসছে, সেখানে তাদের আহ্বানে আলোচনায় বসা মানে এই ইসিকে মেনে নেওয়া। তাই অনেক কিছু বিবেচনা করেই বিএনপি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরই তারা সবারর মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। সেই কমিশনের সঙ্গেই নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসবে বিএনপি।

যেহেতু বিএনপি এই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নয়, তাই সঙ্গত কারণে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদেরও অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এর আগে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির মতবিনিময় সভায়ও যায়নি তারা। শরিক নেতারা বলছেন, তারা আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার পর প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। দলীয় ফোরামে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শরিক দলগুলো ছাড়াও যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি, তারাও যাতে ইসির সংলাপে অংশ না নেয়- সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপির অনুরোধে ইভিএম বিষয়ক কর্মশালায়ও এসব দল অংশ নেয়নি বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury