স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ অপহরনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধারসহ চার জন আসামীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২৬ জুলাই জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এর তত্ত্বাবধানে একটি অভিযানিক দল এসআই সৈয়দ আজহারুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি অপহরন মামলার তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ চার জন আসামীকে আটক করেন।
আটকৃত আসামিরা হলেন শরিফুল ইসলাম (৩৬), পিতা-সাখাওয়াত হোসেন, সাং-তেতুলিয়া, আব্দুস সাত্তার (৪৬), পিতা-মৃত বাহার আলী, , ঠিকানা: স্থায়ী: গ্রাম- শোলাকুরিয়া, হাবিবুর রহমান (২০), পিতা-মৃত তারা মিয়া , ঠিকানা: স্থায়ী: গ্রাম- কেলিয়া, রিপন মিয়া (২৪), পিতা-দুদু মিয়া , ঠিকানা: স্থায়ী: গ্রাম-বানেশ্বর তারা সকলেই ধামরাই থানার বাসিন্দা।
আটকের সময় আসামিদের কাছ থেকে অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ অর্থ নগদ ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, গত ১৫ জুলাই মোঃ রুবেল আহম্মেদ নামের এক ব্যাক্তি পাটুরিয়া ফেরীঘাট থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে রাস্তায় লাল খয়েরি রঙের একটি প্রাইভেট কারে ২০০টাকা ভাড়ায় উঠলে ড্রাইভারের পিছনের সীটে আরো দুইজন যাত্রী ও ড্রাইভারের পাশের সীটে একজন যাত্রী দেখতে পান।
ঐ গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় শিবালয় থানাধীন সংযোগ মোড় পাড় হওয়ার পর গাড়ির ভিতরে থাকা তিনজন ব্যক্তি তার মুখ, হাত, পা গামছা দিয়ে বেঁধে এবং গাড়ির সীল বেল্ট দিয়ে গলায় পেচিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথিমেরে তার সাথে থাকা নগদ ১৫০০/-টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে রুবেল আহম্মেদ কে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে খুন, জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার পরিবারের লোকজনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তার রকেট নাম্বারে ৫০,০০০/-টাকা পাঠাইলে আসামীরা উক্ত টাকা এটিএম বুথ এবং রকেট এর দোকান হতে উত্তোলন করে তাকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন পাকুল্ল্যা নামক স্থানে হাত পা গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
ঐ ঘটনার বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানা একটি মামলা দায়ের করা হয় আর সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ ০৪ জন আসামী গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।আটককৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হলে তাহারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।