এস এম আকরাম হোসেন:
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাশাইল দুপ চকে পানি প্রবাহের খালের মুখ বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
আজ সোমবার সকালে মাশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন ঐ এলাকার অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক আব্দুর রউফ মুন্সী, আক্তার হোসেন, বাবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন, আব্দুস সালাম সহ অন্যান্যরা।
এই গ্রামের কৃষকরা জনান,মাশাইল গ্রামে রেকডীয় খালের উপর সাবেক ইউপি সদস্যে চাঁন আলী ব্যাপারী তার ব্যক্তি সুবিধার্থে বাঁধ নির্মান করায় মাশাইল মৌজার দুপ চকের হাজার হাজার একর জমির কৃষকগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উক্ত খালের উপর নির্মিত বাঁধটি অপসারণ করে একটি কালভার্ট এর ব্যবস্থা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২৭/০৫/২০২২ ইং তারিখে একটি লিখিত আবেদন করেছে ঐ এলাকার কৃষকরা।
এই চকের কৃষি জমিতে এক সময় ইরি,সরিষা, পেয়াজ, মরিচ, রশুন সহ বছরে তিন/চারটি ফসল ফলানো হতো। প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য চাঁন আলী ব্যাপারী প্রভাব খাটিয়ে এই খালের পানি প্রবাহ মুখ বন্ধ করে তার বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মান করেন। এরপর থেকেই বর্ষারকালে সহজে পানি চকে ঢুকতে পারেনা এমনকি বের হতে পারে না। বছরের প্রায় ৬/৭ মাস এই চকের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এই চকের কৃষি জমিতে শুধুমাত্র ইরি ধান ছাড়া অন্য ফসল ফলানো সম্ভব হয় না।দীর্ঘদিন তিনি ইউপি সদস্য থাকায় কেউ এবিষয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি।
এবিষয়ে নালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আসলাম হোসেন বলেন, মাশাইল দুপ চকে বর্ষার সময়ে খাল দিয়ে পানি ঢুকা এবং বের হওয়ার ছিলো একমাত্র এই খালটি। খালের মুখটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই এলাকার শত শত কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কৃষকদের ক্ষতি বিবেচনা করে খালের মুখের বাঁধ অপসারণ করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন আলী ব্যাপারী বলেন, আমি যখন ইউপি সদস্য ছিলাম তখন এই খালের মুখে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। তবে ঐসময় গ্রামের কেউ বাঁধা দেয়নি। বাধাঁ দিলে হয়েতো খালের মুখটি বন্ধ করা হতো না। এছাড়া আমি বাড়িতে ছিলাম না। ঐ সময়ের চেয়ারম্যান নিজেই কাজটি করেছে।
এবিষয়ে নালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস (মধু) বলেন, মাশাইলের যে খালটার মুখ ভরাট করে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। খালটা আটকিয়া দেওয়ার ফলে মাশাইলের বিরাট একটা চক
আষাঁর মাসে এখানে সময়মতো পানি ঢুকতে পারেনা আবার আশ্বিন কার্তিক মাসে পানিটা বের হতে পারে না। যে কারনে মাশাইলের এই চকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পক্ষান্তরে আবার রাস্তাটাও দরকার। কিভাবে রাস্তা রেখে কিভাবে খালটা বের করা যায় এই দুইটি জিনিস সমন্বয় করে আমাদের রাস্তা রাখতে হবে খালও বের করতে হবে। জনগনের যে আবেদন করেছে আমি তাদের দাবীর সাথে একমত। বিষয়টা নিয়ে আমি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে কাজটি করা যায়।