দিপক সূত্রধরঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সরকারী বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রতন কুমার দাসকে মেরে ফেলার হুমকীর প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় কলেজ চত্ত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় ওই কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাহিদুর রহমান রহমান নয়ন, পার্থ সরকারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বক্তারা বলেন, গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান তাদের কলেজ শিক্ষককে অস্ত্র উঁচিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দেন। একজন শিক্ষককে কোন কারণ ছাড়াই এই ধরণের হুমকীর নিন্দা জানান তারা।
এব্যাপারে, কলেজ শিক্ষক রতন কুমার দাস বলেন, ‘গত ২৪ জুলাই ঝিটকা আনন্দমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনের ূিন ধার্য্য ছিল। ওই পদে প্রার্থী ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে নির্বাচনটি স্থগিত হয়ে যায়। দেওয়ান সাইদুর রহমানের ধারণা ওই নির্বাচনে আমি সংসদ সদস্যের পক্ষে ছিলাম। একারণে ওইদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আন্ধারমানিক এলাকায় আমি মোটরসাইকেলে চলমান অবস্থায় তিনি পেছন দিক থেকে তার সরকারী গাড়ী নিয়ে আমার সামনে এসে গাড়ীতে বসে অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। এঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। উনি এর আগে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে মারধর করেছিলেন। একারণে, তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে
অপসারণ করা হয়েছিল।’
অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই কলেজ শিক্ষককে কোন হুমকী দেইনি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি জিডি করিয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অসত্য অভিযোগ করছেন। তাঁদের এই হীন চেষ্টা সফল হয়নি। এতে আমার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।’
উল্লেখ্য, কলেজ শিক্ষক রতন কুমার দাসকে হত্যার হুমকীর ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কলেজ শিক্ষক।