আমার নিউজ ডেক্স,
চলতি মৌসুমে বাজে শুরুর পর প্রধান কোচ থমাস টুখেলকে বরখাস্ত করেছে চেলসি। সবশেষ মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ডিনামো জাগরেবের কাছে ১-০ গোলে হারের পর তাকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্লুরা।
প্রিমিয়ার লিগেও সময়টা ভালো যায়নি চেলসির। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১০ পয়েন্ট। অথচ অন্য যে কোনও ক্লাবের চেয়ে দলবদলের বাজারে এবার সবচেয়ে বেশি ২৭ কোটি ৮৪ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে তারা।
সাউদাম্পটন, লিডস ও জাগরেবের কাছে হার, টটেনহ্যামের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে ড্র। চেলসির পারফরম্যান্সের মান নিচের দিকে। মাঠে যে সমস্যায় পড়েছে ক্লাবটি, তার সমাধান খুঁজতে হলো কোচকে বরখাস্ত করে।
চেলসির অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চেলসি এফসির প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ক্লাব থমাস ও তার স্টাফদের সবার প্রতি তাদের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কাপ ও ক্লাব কাপ জেতার পর থমাস চেলসির ইতিহাসের পাতায় ঠিক থাকবেন। নতুন মালিকানা নেওয়ার ১০০ দিন পার হয়েছে এবং এই ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করছে। নতুন মালিকদের বিশ্বাস এই পালাবদলের এখনই সঠিক সময়।’
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের উত্তরসূরি হয়ে চেলসিতে যোগ দেন টুখেল। চার মাস পরই জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। পরের মৌসুমে তারা প্রিমিয়ার লিগ ট্রফির চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ক্লাব রেকর্ড গড়ে রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে চুক্তিও হয়েছিল। কিন্তু রোমান আব্রাহিমোভিচের মালিকানা ঘিরে সংকট আরও জটিল করে তোলে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে টুখেল দলকে এফএ কাপ ও লিগ কাপের ফাইনালে তুলেছিলেন, কিন্তু দুটোতেই লিভারপুলের কাছে হেরে যায় টাইব্রেকারে।
টড বোয়েহলি নতুন মালিকানা নেওয়ার পর টুখেলকে বেশ সমর্থন দিয়েছেন। এক ট্রান্সফার উইন্ডোতে রেকর্ড খরচ করে ওয়েসলি ফোফানা, মার্ক কুকুরেল্লা, রহিম স্টার্লিং, কালিদো কুলিবালি ও পিয়েরে এমেরিক অবেমেয়াংয়ের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে আসে। কিন্তু আস্থা ধরে রাখার মতো কিছু করতে পারেনি জার্মান কোচ।
জাগরেবের বিপক্ষে চেলসির ম্যাচটি ছিল টুখেলের শততম, আর সেই ম্যাচে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের মাশুল দিতে হলো চাকরি হারিয়ে।