জীবনে কখনো হেঁচকি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি খুব বিরক্তিকর একটি অভিজ্ঞতা। ঠিক কী কারণে হেঁচকি ওঠে সেটা এখনও জানতে পারেননি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
তবে সাধারণত ধারণা করা হয় যে, ঝাল-মসলা বেশি খেলে, তাড়াতাড়ি খাবার খেলে, খাবার সময় কথা বললে বা অন্য দিকে মনোযোগ দিলে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে হেঁচকি ওঠে। তা ছাড়া জোরে হাসা, হঠাৎ ভয় পাওয়া, আবেগ, উত্তেজনা ইত্যাদি কারণেও হেঁচকি উঠতে পারে। কিছু অসুখের কারণেও এটা হতে পারে। আবার কোনো ধরনের কারণ ছাড়াও হেঁচকি আসাটা একেবারেই অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।
বেশির ভাগ সময় কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে হেঁচকি বন্ধ করা যায়। চলুন হেঁচকি থামানোর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
* চিনি খাওয়া: হেঁচকি উঠলে এক চামচ চিনি জিভে নিয়ে সামান্য সময় পর গিলে খাওয়ার চেষ্টা করুন। হেঁচকি দূর হবে।
* শ্বাস চেপে রাখা: হঠাৎ হেঁচকি উঠলে নাক চেপে ধরুন, মুখ বন্ধ রাখুন কিছুক্ষণ। হেঁচকি চলে যাবে।
* লেবু খাওয়া: টক কিছু খেলেও হেঁচকি বন্ধ হয়। যেমন: লেবুতে কামড় দেয়া বা একটু ভিনেগারের স্বাদ নেয়া।
* কাগজের ব্যাগে নিশ্বাস ফেলা: কাগজের ব্যাগ দিয়ে মুখ ঢেকে শ্বাস নিতে থাকুন ও ছাড়তে থাকুন বেশ কয়েকবার। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া হেঁচকি কমিয়ে আনবে।
* বরফ ঠান্ডা পানি পান: ঠান্ডা পানি খেলে বা ঠান্ডা পানি দিয়ে গড়গড় করলেও থেমে যাবে হেঁচকি।
* পিনাট বাটার: হেঁচকি থামানোর দারুন একটি উপায় হলো, পিনাট বাটার খাওয়া। ১ চামচ পিনাট বাটার খেয়ে নিন, হেঁচকি থেমে যাবে।
* জিহ্বা বের করা: হেঁচকির সময়ে জিহ্বা বের করে রাখুন। এতে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
* মধু খাওয়া: হালকা গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে জিহ্বার নিচের রাখুন ও গিলে ফেলুন। হেঁচকি চলে যাবে।
* কান বন্ধ রাখা: দুই কানে আঙুল ঢুকিয়ে ২০-৩০ সেকেন্ড কান বন্ধ রাখুন। হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
* হাতের তালুতে চাপ দিন: হেঁচকি আসলে আপনার এক হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে অপর হাতের তালুতে চাপ দিতে থাকুন। যত জোরে চাপ দেবেন, তত ভালো। এ উপায়ে হেঁচকি বন্ধ না হলে কাঁধের দু’পাশে ধীরে ধীরে চাপ দিন।
* পানি পান করুন: এক গ্লাস পানি ৯টি বা ১০টি চুমুক দিয়ে পান করুন।
এসব টোটকায় কাজ না হলে এবং হেঁচকি দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা হেঁচকি অনেক সময় গুরুতর রোগের কারণেও হয়ে থাকে।