নিউজ ডেস্ক:
বহিষ্কৃত হয়েও কমিটি দিলেন উপজেলা সভাপতি বহিষ্কৃত হয়েও কমিটি দিলেন উপজেলা সভাপতি মানিকগঞ্জ জেলা দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী একমাসের জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বায়রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির গঠন করা হয়েছে। আর সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিংগাইরে বলধারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী মাসের জন্য শুক্রবার বিকেলে সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় প্যাডে উপজেলা সভাপতি ওবায়দুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের অনুমোদনের সইও আছে।
১১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়ৈছে এস এম শাহিনকে; যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আশরাফুল আলম লিটন, মো. শামসুল ইসলাম, মো.মিজানুর রহমান ও মো.হামিদুর রহমান; এবং সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে দেওয়ান কামরুল ইসলাম পল্টু, মো.সাদেক আলী, মো. মোস্তফা শেখ, মো. সেলিম বেপারী, মো. রবিউল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলামকে। আগামী একমাসের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও ইউনিয়ন সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ওবায়দুল রহমানের মোবাইলে কল করলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা বিচারে আছি। বিচার শেষ করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ এরপর বেশ কয়েকবার তার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘দলীয় নিদের্শনা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সিংগাইরে চারটি ইউনিয়নে কমিটি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি জেলা স্বোচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারকে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
’ জানতে চাইলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করায় তাকে (ওবায়দুর রহমান) বহিষ্কার করা হয়। দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেও নিষেধ করা হয়। আমার জানামতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করা হয়নি।’