1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জ জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে সরকারি নির্দেশনা না মেনে বিদ্যালয়ের কক্ষে চলছে কোচিং

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৬৯ বার দেখা হয়েছে

রফিক খান,মানিকগঞ্জ:

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসি-সমমান পরীক্ষার জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমনটাই জানিয়েছেন।

কিন্তু সরকারি এসব নির্দেশনা উপক্ষো করে অভিনব কায়দায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে নবম ও সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং সেন্টার চালু রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা বলছে মাসিক ৩০০ টাকা ফি দিয়ে তারা সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত কোচিং করছে।
এসব তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন কোচিং নয় বিদ্যালয়ের দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাশ করানো হচ্ছে। বিনিময়ে তাদের থেকে ১৫০ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন,এগুলো করা হচ্ছে শিক্ষা অফিসের নিয়ম মেনেই। শিক্ষা অফিসের লিখিত কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে , ওই প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে আর কোন তথ্য দেওয়া হবে না বলে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের ক্যামেরা ও তার উপর হামলা চালায়। এসময় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এসে প্রধান শিক্ষককে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ক্লাশরুমে অভিনব সব কায়দায় কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে চাচ্ছে। সপ্তম ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০০ করে মাসিক ফি নিয়ে চলছে এসব কোচিং সেন্টার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচিং চলাকালে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, মাসে ৩০০ করে টাকা নিয়ে আমাদের কোচিং করানো হয়।
জাগীর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা দিয়েছে কোচিং বন্ধ রাখতে। তা না মেনে বিদ্যালয়ের রুমে কোচিং করানো এটা দন্ডনীয় অপরাধ হয়েছে। আমি দেখেছি ও শুনেছি সাংবাদিকের উপর ওই প্রধান শিক্ষক হাত তুলেছেন। একজন খারাপ মনের মানুষ শিক্ষক হতে পারেনা। একজন সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে একজন সাধারণ মানুষের সাথে কেমন আচরণ করতে পারে। তিনি এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে মাধ্যমে দোষীর বিচার চান।
জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি জানি যারা এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে শুধু তাদের কোচিং করা যাবেনা। শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কালাম মিয়া বলেন, দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সকাল নয়টা থেকে অতিরিক্ত ক্লাশ নেওয়া হয়। কোন টাকা বা ফি নেওয়া হয়না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এখন কোচিং সেন্টার বন্ধ। যদি কোথাও কোচিং সেন্টার চালু রাখে, খোঁজ-খবর নিয়ে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর উপর হামলা হলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury