এস এম আকরাম হোসেন:
মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সম্মেলন আগামী ৮ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য ৮ জন প্রার্থী লড়াই করতে যাচ্ছেন। কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা যুবদলের শীর্ষ দুই পদে মানিকগঞ্জের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের ১০ তারিখে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাইফুল আলম নীরব এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় যুবদলের প্যাডে একটি আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে আহবায়ক এবং তুহিনুর রহমান তুহিনকে সদস্য সচিব করা হয়। নতুন এই কমিটিতে ১৯ জনকে যুগ্ম আহবায়ক ও ৩০ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
আসন্ন এই কাউন্সিলে মানিকগঞ্জে যুবদলের সভাপতি পদে লড়াই করবেন মোট ৪ জন। বর্তমান কমিটির আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, বর্তমান কমিটির ১ নাম্বার সদস্য জি এম রফি (অপু),বর্তমান কমিটির ২নং যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ, বর্তমান কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দিন আহমেদ কবির।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে যে ৪ জন লড়তে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন ও যুগ্ন আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো: সুজা উদ্দিন বুলবুল, সাবেক কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম হোসেন ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির ৪ নাম্বার সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম চান।
জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু বলেন, আমি ২০০৩ সালে জেলা যুবদলের কাউন্সিলের মাধ্যমে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, ২০১০ সালে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, ২০১৮ সালে সাধারন সম্পাদক ও ২০২২ সালে জেলা যুবদলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ গ্রহনে আমার বিরুদ্ধে মোট ১৩টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলো আইনগতভাবে মোকাবেলা করছি।
জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জি এম রফি (অপু) বলেন,১৯৮৫ সালে নগর ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করি। ১৯৮৬ সালে নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে নগর ছাত্রদলের সভাপতি , ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৯ সালে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৩ সালে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০১৮ সালে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি, ২০১৯ সালে জেলা যুবদলের সভাপতি কাজী রায়হান উদ্দিন মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ২০২১ সালে বর্তমান জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জিয়া উদ্দিন আহমেদ কবির বলেন, ১৯৮৯ সালে ছাত্র দলের সদস্য, ১৯৯৩-৯৪ সালে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ এ জিএস,১৯৯২ সালে নগর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের দুই বারের আহবায়ক কমিটির সদস্য, জেলা যুবদলের সদস্য, জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য, ২০১৮ সালে জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ও বর্তমানে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মাসুদ পারভেজ বলেন, ১৯৯৮ সালে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০১৩ সালে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০২১ সালে বর্তমান জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।এছাড়া ছাত্রদল,ছাত্র মজলিস ও ছাত্র শিবির মিলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল। আমি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলাম। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করায় ৬০ এর অধিক রাজনৈতিক মামলায় পড়তে হয়েছে। এরমধ্যে চলামান আছে ২২টি মামলা। মানিকগঞ্জের বাহিরেও ঢাকা, ফরিদপুর সহ অন্যান্য জেলায় মামলায় আসামী করা হয়েছে। কারাবরণ করতে হয়েছে মোট ৩৫ বার।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, ১৯৯২ সালে পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৩/৯৪ সালের ছাত্র সংসদের বিপুল ভোটে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত, ১৯৯৬ সালে জেলা ছাত্রদলের সদস্য, ১৯৯৬ সালেই জেলা যুবদলের সদস্য, ২০২০ সালে পৌর যুবদলের আহবায়ক, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের পর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় ৬টা রাজনৈতিক মামলা চলমান আছে। চার বার কারাবরণ করেছেন তিনি।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ্যাডভোকেট মো: সুজাউদ্দিন বুলবুল বলেন,২০০৩ সালের জেলা যুবদলের সদস্য,২০১৮ সালের জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে সক্রিয়ভাবে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। ১/১১ আন্দোলনে ভুমিকা রাখায় ২টি মামলা সহ কারাবরণ করেছেন তিনি।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম বলেন,হোসেন,১৯৯৯ সালে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের ক্লাস কমিটির সভাপতি, ২০০২ সালে জেলা ছাত্রদলের তোজা-কায়সার কমিটির সদস্য, একই বছর ২০০২ সালে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য,২০০৩ সালে জেলা ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক, ২০০৩ সালে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৫ সালে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের জি এস পদে নির্বাচন করি, ২০১৩ সালে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি, ২০১৮ সালে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে
জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বিপুলভোটে নির্বাচিত সদস্য,২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বিপুলভোটে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম জানান,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা বাংলাদেশের ন্যায় মানিকগঞ্জেও ২০০০ সালের আগে যারা এস এস সি পাস করেছে তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোনো পদ পদবি পাবে না বিধায় ছাত্রদলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারিনি।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ শরিফুল ইসলাম চান বলেন,১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ সাভিস ক্লাবে এক প্রোগ্রামে দলের চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের হাত ধরে ছাত্রদল রাজনীতি শুরু হয়, ১৯৯৯ইং সালে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ছিলাম ২০১৮ইং সালে, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ২০২১ইং সালে, বর্তমান আহবায়ক কমিটির ৪ নং সম্মানিত সদস্য হিসেবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক নাশকতার মামলা রয়েছে। |
নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করবেন সাড়ে তিন শতাধিক কাউন্সিলর। মানিকগঞ্জ আহবায়ক কমিটির ৫১ জন, ৯ টি ইউনিট কমিটি, এরমধ্যে ৭ টি উপজেলা কমিটি, ২টি পৌর নগর কমিটির সদস্যগণ ভোট প্রদান করবেন।