1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জে নদী ভাঙনে ব্রীজসহ সংযোগ সড়ক, ভুগান্তিতে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৬৭ বার দেখা হয়েছে

মোঃ সেলিম মিয়া:

অসময়ে বাড়েছে পানি ভাঙছে পার সে কারনে মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলায় ব্রীজের ঘুরার মাটিসহ সংযোগ সড়কে ধস। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

বলছি উপজেলার বলিয়াখোড়া ইউনিয়নের কোশুন্ডা এলাকাদিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীর পারের ব্রীজের কথা। নতুন করে ভাঙনের ফলে ব্রীজটির ঘুরা সহ দুপারের ৬শ মিটার পাকা সংযোক সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। সে কারনে এই ব্রীজ দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, অসময়ে নদী ভাঙনের ফলে গত শুক্রবার ব্রীজটি দেবে যায়। তবুও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটির উপর দিয়ে চলাচল করছিল। গতকাল রোবরার বিকেলের দিকে ব্রীজটির দুপারের মাটি ধসে একদিকে কাত হয়ে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সে কারনে কোশুন্ডা, চড় কোশুন্ডা, প্যঁচার কান্দা, শিমুলিয়া, সাইনংজুরী, গোবর চাকা, বেনুরা, চড় বেনুরাসহ সিংজুরী ইউনিয়নের আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এলাকাবসীরা বলেন ভাঙন রোধে কর্তূপক্ষ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেইনি। সে কারনে এবছর প্রায় শত খানেক বস ভিটাসহ কয়েক বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

যানা গেছে ১৯৮৯ সালে এলজিইডির অর্থয়নে এই ব্রীজটি নির্মান হয়েছিল। এই সব গ্রামের মানুষদে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ব্রীজটির ওপারের বৈলট গ্রাম থেকে এপার জাবরা পযর্ন্ত আনুমানিক ১০ কিলোমিটার পকা রাস্তা নির্মান করা হয়েছিল ২০১০ সালে।

চর কুশুন্ডা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রজিটি ধসে যাওয়ার কারনে জাবরা বাজারে সকালে সবজি নিয়ে যেতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে। সকালে নদী পার হওয়ার জন্য নৌকাও পাওয়া যায়না। পরে অনেক সময় ধরে ডাকাডাকি করে একটি নৌকায় পার হই। গিয়ে দেখি বাজার ভাঙার সময় হয়ে গেছে। সে কারনে সবজি বিক্রয় করে ভালো দাম পাইনি।

মহসিন মিয়া বলেন, আগে থেকে যুদি ভাঙন রোধে কর্তূপক্ষ কাজ করতো তাহলে এই ব্রীজটি ধসে যেতনা। আজ আমাদের এত ভোগান্তিতে পরতে হতো না। এখন অনেকটা পথ ঘুরে জেলা শহরে জেতে হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথ এই ব্রীজটিসহ আশে পাশের ভাঙনের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা ব্রীজের গুড়াসহ ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য হেড অফিসে প্রস্তাবনার জন্য আবেদনের প্রস্ততি চলছে। তিনি বলেন কিছু দিনের মধ্যেই ভাঙন রোধের কাজা শুরু করবো।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ইতি মধ্যে এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অতিতারাতারি করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে মানুষের চলাচলের জন্য কোন ভুগান্তিতে পরতে না হয়।

তিনি বলেন বিকল্প আর একটি রাস্তা রয়েছে মানুষ এখন সেই রাস্তাটি ব্যবহার করছেন। যুদিও তাদের বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসতে একটু সময় বেশি লাগছে।

 

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury